• facebook
  • twitter
Thursday, 17 April, 2025

ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করতে চেয়েছিল পুলিশ, বিস্ফোরক দাবি ‘তিলোত্তমা’র বাবা-মার

৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয় এক স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণরতা ডাক্তারকে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২৮ দিন ধরে রাজ্যজুড়ে চলছে আন্দোলন।

৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয় এক স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণরতা ডাক্তারকে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২৮ দিন ধরে রাজ্যজুড়ে চলছে আন্দোলন। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে গত বুধবার ‘বিচার পেতে আলোর পথে’ নামক কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল, যা পালিত হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও। আরজি করের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা, যেখানে তাঁরা প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দেন সবার সামনে।

নির্যাতিতার বাবা জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘হাসপাতালের তরফে কী ভাবে কোনও পরীক্ষা ছাড়াই বলা হল, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন? সে দিন মেয়ের মুখ দেখতে আমাদের সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ওর মা ওঁদের হাতে-পায়ে ধরেছেন মেয়ের মুখ দেখার জন্য। কেন ময়নাতদন্ত করতে দেরি হল? আমি টালা থানায় এফআইআর করি সন্ধ্যা সাড়ে ৬’টা থেকে ৭টার মধ্যে। কিন্তু সেই এফআইআর রাত পৌনে ১২টায় নথিভুক্ত হল কেন? পুলিশ কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করল?’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা দেহ রেখে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ৩০০-৪০০ পুলিশ টালা থানা ঘিরে রেখেছিল। আমরা সেখান থেকে ফিরে যাই। দেহ দাহ করতে দিতে বাধ্য হই আমরা। শ্মশানের টাকাও নেওয়া হল না আমার থেকে। আমার মেয়ে জানল, বাপি এই টাকাটাও দিতে পারল না! ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বার বার মিথ্যা কথা বলছেন।”

ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছিল তাঁদের, এই দাবি জানিয়ে তিনি জানান, “মেয়ের দেহ যখন বাড়িতে তখন ডিসি নর্থ ঘরের ভিতরে নিয়ে গিয়ে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আমরা আমাদের মতো জবাব দিই।”

আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি চাই, অপরাধীরাও আমার মতো ঘুমহারা হোক। যত দিন বিচার না পাচ্ছি, আন্দোলন চলুক।’’

News Hub