আরজি কর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের

সঞ্জয় রায়। নিজস্ব চিত্র

আরজি কর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ শিয়ালদহ আদালতের। বিচারক অনির্বাণ দাস রায় ঘোষণার সময় বলেন, আপনাকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে। ঘটনার ১৬৪ দিনের মাথায় দোষীর সাজা ঘোষণা করলেন শিয়ালদহ আদালত। গত শনিবার, সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের জন্য মৃত্যু), ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে।

এদিন আদালতে সঞ্জয় রায় বলে, আমি খুন বা অন্য কাজ কিছুই করিনি। আমি কোনওটাই করিনি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি আগের দিনও বলেছি। আমি নির্দোষ। আপনাকে আগেও বলেছি যে কী ভাবে আমাকে মারধর করা হয়েছে, যার যা ইচ্ছে করেছে। অত্যাচার করা হয়েছে, সই করানো হয়েছে। যেখানে বলেছে সই করেছি। আদালতের নির্দেশ শুনে মুষড়ে পড়তে দেখা যায় দোষী সঞ্জয় রায়কে। বিড়বিড় করে কিছু বলতে থাকে সে।

গত বছরের ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে তিলোত্তমার দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। শিয়ালদহ কোর্টে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই।


শনিবার শিয়ালদহ আদালতের বিচারক সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন তার এক দিদি। কাঁদতে কাঁদতেই তিনি জানান, আদালত যা নির্দেশ দেবে, তা তাঁরা মেনে নেবেন। তাঁর বিয়ের পর ভাইয়ের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ ছিল না। তাঁর ভাই যে এমন নৃশংস কাজ করতে পারেন, তা যেন এখনও ভাবতেও পারছেন না সঞ্জয়ের ওই দিদি।