প্রাথমিক পর্যায়ে শহরের ৬টি হাসপাতালে চালু ‘রাত্তিরের সাথী’

হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা বাড়াতে ‘রাত্তিরের সাথী– হেল্পার অ্যাট নাইট’ চালুর বিষয়ে তৎপর হল রাজ্য। এই নিয়ে একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কলকাতা পুলিশের এলাকায় ৬ টি হাসপাতালকে এর আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি সরকারি হাসপাতাল, একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং একটি জেলা হাসপাতাল। প্রতিটি হাসপাতালের দায়িত্বে একজন করে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার থাকবেন।

রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের তরফে এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে এই ৬টি হাসপাতালের কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে পর্যবেক্ষণ, নজরদারি ও সমন্বয় গড়ে তুলতে এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই ছটি হাসপাতাল হল, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম, এনআরএল মেডিক্যাল কলেজ, মেটিয়াবুরুজ (গার্ডেনরিচ এসজিএফ) এবং এমআর বাঙুর। এগুলির মধ্যে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নওশাদ আলি, কলকাতা মেডিক্যালে অনুজ হোম রায়, এসএসকেএমে অরবিন্দকুমার মিশ্র, এনআরএল মেডিক্যালে আসিফ জামাল, মেটিয়াবুরুজ (গার্ডেনরিচ এসজিএফ)–এ দেবাশিস চক্রবর্তী এবং এমআর বাঙুরে বিশ্বজিৎ রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সকলেই কলকাতা পুলিশের ডেপুটি বা অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদে কর্মরত ছিলেন। মূলত হিংসা, লিঙ্গবৈষম্য দূর করা এবং চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য নিরাপদ কাজের পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যেই রাত্তিরের সাথী কর্মসূচিটি চালু করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুনের মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারপরেই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ, সেনা, বায়ুসেনার অফিসার বা নৌবাহিনী অফিসারকে সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছিল।