শ্রদ্ধার্ঘ্য মমতার, স্বামীজির জন্মদিন ঘিরেও শাসক ও বিরোধী দলের টাগ অফ ওয়ার

স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বিবেকানন্দের বাণী উদ্ধৃত করে সোস্যাল সাইটে পোস্ট করলেন মমতা।

এদিন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও স্বামীজির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বামীজির মূর্তিতে মাল্যদান করেন চেতলার সেন্ট্রাল পার্কে।

স্বামীজির জন্মদিনে ডায়মন্ড হারবারে ৩০ হাজার মানুষের কোভিড পরীক্ষার বিরাট কর্মসূচি ঘোষণা করলেন সেখানকার সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


স্বামী বিবেকানন্দের ১৬০ তম জন্মদিনে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে বিবেক জয়ন্তী। এদিন টুইটারে স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণও দিয়েছেন।

দিনটিকে জাতীয় যুব দিবস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন মোদি। পিছিয়ে নেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ফেসবুকে স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

ফেসবুকে স্বামী বিবেকানন্দের ছবি ও তার বাণী পোস্ট করে তাঁকে স্মরণ করেছেন মমতা। পোস্টে তিনি লিখেছেন স্বামীজির বাণী– ‘তুমি আপনাকে মহান বলে উপলব্ধি করো, তুমি মহান হইবে…।

আমাদের প্রত্যেকের ভিতরে সেই মহিমময় আত্মা রহিয়াছেন। আত্মায় বিশ্বাসী হইতে হইবে। নচিকেতার মতো বিশ্বাসী হও।’ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনের পাশাপাশি ১২ জানুয়ারি মাস্টারদা সূর্য সেনেরও প্রয়াণদিবস।

মাস্টরদাকে স্মরণ করেও ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি উত্তর কলকাতার সিমলায় জন্মগ্রহণ করেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত।

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের সংস্পর্শে এসে তিনি হয়ে ওঠেন স্বামী বিবেকানন্দ। এদিন সিমলাতেও স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম এদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

তবে কোভিডের জন্য সেখানে ভক্ত সমাগম বন্ধ ছিল। তবে সিমলায় বিবেকানন্দের বাড়িতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

অন্যদিকে স্বামীজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রাজ্যকে পরামর্শ দিয়ে টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি লিখেছেন, স্বামীজি বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে পালিত হয়।

আশা করব, রাজ্য সরকার যুব প্রতিভাকে তুলে ধরার এবং কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। এরপরই তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চিত্ত যেথা ভয়শূণ্য’ পংক্তির উল্লেখ করে রাজ্যে একটা ভয়মুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আমরা যারা ভারতের মানুষ স্বামীজি তাদেরকে ‘স্বদেশমন্ত্র’ দিয়ে গিয়েছেন। যা উচ্চারণে মানুষ পূর্ণতা লাভ করে। স্বামীজি সারা ভারতবর্ষকে চিনিয়েছেন গোটা বিশ্বকে।

তিনি নিশ্চিতভাবে হিন্দুত্বের প্রতিনিধি ছিলেন। কিন্তু সেই হিন্দুত্ব ছিল মহান। যা গোটা বিশ্বের মানুষকে ‘ভাই ও ভগিনী’ বলে সম্বোধন করে। কিন্তু কেউ কেউ ইতিহাস বিকৃত করতে চাইছে, কেউ কেউ হিন্দুত্বকে নিয়ে ব্যবসা করছে।

কিন্তু স্বামীজির আদর্শ মেনে গোটা দেশকে অখণ্ড রাখার জন্য আমরা আপ্রাণ লড়াই করে যাব। এইভাবে স্বামীজির জন্মদিনে উপলক্ষে শাসক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা এদিন প্রাধান্য পাওয়ার টাগ অফ ওয়ার -এ মেতে থাকলেন।