পবিত্র বকরি ঈদ উৎসব নিয়ে সতর্ক করলেন ধর্মীয় প্রধানরা

আগামী রবিবার ঈদুল আযহা নামাজ বা কুরবানি উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুদের সঙ্গে প্রশাসনিকভাবে বিভিন্ন স্থানে সভা সম্পন্ন হয়েছে। ফুরফুরা শরিফের পীর সাহেব সহ রেড রোডের ইমাম বা ঈদাইনকারী ফজলুর রহমান এবং নাখোদা মসজিদের ইমাম মাওলানা শফিক কাশেমী সাহেব বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন।

ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা মেহরাব সিদ্দিকী , মিনহাজউদ্দিন সিদ্দিকী , পীরজাদা সাফেরি সিদ্দিকী , পীরজাদা মুজাহিদ সিদ্দিকী ও পীরজাদা সানাউল্লাহ সিদ্দিকীগণেরাও কোরবানিকে কেন্দ্র করে সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বার্তা দিয়েছেন । বারণ করেছেন কোরবানির পশুকে নিয়ে অযথা ঘোরাঘুরি করতে। বলেছেন , খোলামেলা জায়গায় কোরবানি না করতে।

পীরজাদা মোসফেকিন সিদ্দিকী , পীরজাদা হোজায়ফা সিদ্দিকী ও পীরজাদা সাহিন সিদ্দিকীরাও জানিয়েছেন , কোরবানির মাংস নিযে ৭৫ মাইক্রোনের উপর প্লাস্টিক ব্যবহার করতে। পশুর মাংস দেখা না যায় বা অন্য ধর্মালম্বীদের ভাবাবেগে যাতে আঘাত না লাগে সে ব্যাপারে আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলেছেন। কোরবানির পশুগুলিকে ফাঁকা জায়গায় না রেখে ত্রিপল দিয়ে ঘিরে রাখতে আহ্বান করা হয়েছে।


যেখানে এই উৎসবের পশু রাখা বা কোরবানি করা হবে , সেই স্থান পরিষ্কার রাখতে ফিনাইল ও ব্লিচ ব্যবহার করারও পরামর্শ দিয়েছেন পীর সাহেবগণ । এ বিষয়ে দরকার হলে পঞ্চায়েত ও পুরসভার সাহায্য নিতে বলা হয়েছে। পশু কোরবানি করার দৃশ্য এবং সেই মাংসের ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করতে কঠোরভাবে মানা বিশিষ্টরা। এই সমূহ কাজ যে ইসলাম বিরোধী , সে বিষয়টিও স্মরণ করিয়েছেন বিভিন্ন আলেমগণেরা।

মোটের উপর ব্যাপক সতর্কতা জারি করে পবিত্র ত্যাগ বা আত্ম সংযমের উৎসব পালন করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রেখে বকরি ঈদ পালন করতে আর্জি জানানো হয়। রাজ্যের স্বাভাবিক পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখতে সকলের মিলিত প্রয়াস খুব জরুরি বলে সংশ্লিষ্ট বক্তিরা আহ্বান জানিয়েছেন। সকলকে অগ্রিম ঈদের মোবারকবাদ জানিয়েছেন ধর্মীয় প্রধান ব্যক্তিরা।