• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রিজেন্টপার্ক নাবালিকা খুন কান্ডে গ্রেফতার নাবালক! পলাতক লিভ-ইন সঙ্গী

নিজস্ব প্রতিনিধি: সংজ্ঞাহীন নাবালিকাকে গলা টিপে খুনের চেষ্টা করেছিল তাঁর প্রেমিক৷ খুনে সাহায্য করেছিল প্রেমিকের এক নাবালক বন্ধু! রিজেন্টপার্ক খুনের তদন্তে নেমে আট দিনের মাথায় এমনই তথ্য পেল কলকাতা পুলিশ৷ প্রথমে নাবালিকার পরিচয় না পাওয়া গেলেও তাঁর হাতের উলকি ধরে তদন্তে নেমেছিল কলকাতা পুলিশ৷ মৃতার হাতে আঁকা ছিল দুটি ইগলের উলকি এবং ‘মোবারক’ নামে এক

প্রতীকী ছবি (Photo: iStock)

নিজস্ব প্রতিনিধি: সংজ্ঞাহীন নাবালিকাকে গলা টিপে খুনের চেষ্টা করেছিল তাঁর প্রেমিক৷ খুনে সাহায্য করেছিল প্রেমিকের এক নাবালক বন্ধু! রিজেন্টপার্ক খুনের তদন্তে নেমে আট দিনের মাথায় এমনই তথ্য পেল কলকাতা পুলিশ৷
প্রথমে নাবালিকার পরিচয় না পাওয়া গেলেও তাঁর হাতের উলকি ধরে তদন্তে নেমেছিল কলকাতা পুলিশ৷ মৃতার হাতে আঁকা ছিল দুটি ইগলের উলকি এবং ‘মোবারক’ নামে এক তরুণের নাম৷ সেই সূত্র ধরেই প্রকাশ্যে আসে নাবালিকার পরিচয়৷ এবার সেই উলকির নাম ধরেই খুনের কিনারা করল কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা৷
সূত্রের খবর, মৃতার হাতে থাকা নাম তাঁরই প্রেমিক রাহুল মোবারকের৷ যার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে লিভ-ইন করত নাবালিকা৷ তবে ঘটনার মূলচক্রী তথা প্রেমিক মোবারক পলাতক হলেও, তাঁর নাবালক বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷
খুন করার আগে নাবালিকা মাদক সেবন করেছিলেন। সেই কারণে অচৈতন্য হয়ে পড়ে সে। আর তখনই তাঁর গলা টিপে খুনের চেষ্টা করে প্রেমিক মোবারক এবং তাঁর নাবালক বন্ধু। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, নাবালিকার সঙ্গীর আরও অনেক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। যা জানতে পেরেই চিড় ধরে দুজনের সম্পর্কে। পুলিশের অনুমান, সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই খুন করা হয় তরুণীকে।
অন্যদিকে, মৃত নাবালিকার বাড়ির লোকের দাবি, গত ২০ জুলাই ভোর রাতে এক বান্ধবীর সঙ্গে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিল সে। তারপর থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যায়নি মেয়ের। সম্প্রতি সরশুনা থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করার পরে নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনা জানতে পারে পরিবার। এদিন ধৃত নাবালককে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পেশ করা হলে, আগামী ১৪ তারিখ পর্যন্ত  হোমে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।