গরু পাচার মামলায় এ বার অভিনেতা-সাংসদ দেবকেই তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। তা নিয়ে এ বার তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
দেবের জন্য খারাপ লাগলেও, তৃণমূলে থাকার জন্যই তারকা অভিনেতাকে এ সবের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করলেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর দফতরে পৌঁছন দেব। তার পরই সংবাদমাধ্যমে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আগেও বলেছি , সংসঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎসঙ্গে নরকবাস। তৃণমূলের সঙ্গে থাকলে এমনই হবে। তৃণমূল ভোটে জিততে পারে হয়ত, সে তো একসময় জ্যোতি বসুও জিততেন।
কিন্তু এখন তাঁকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা হয়। তাঁর আমলের লোডশেডিং, ইংরেজি তুলে দেওয়া নিয়ে সমালোচনা হয় সর্বত্র। তৃণমূলেরও সময় আসবে। তখন এর থেকেও খারাপ অবস্থা হবে।”
দেবকে জেরার প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “তৃণমূলে থাকলে এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। দুঃখজনক। আমাদেরও খারাপ লাগছে। কিন্তু তৃণমূলে থাকার জন্যই আজ এমন অবস্থা। উনি যা জানেন, সে সব তথ্য দিন সিবিআই-কে।
উনি গরু পাচার করেছেন বলে তো আর সিবিআই ডাকেনি। কী কী জানেন, তা জানার জন্য ডেকে পাঠিয়েছে। আমরা কিছুই জানি না। তবে দেব ঈশ্বরের পাঠানো বরপুত্র নাকি! আপনার আমার মতো সাধারণ মানুষ।
আপনাকে আমাকে যদি সিবিআই জেরা করতে পারে, তাহলে ওঁকে কেন নয়!” গরু পাচার মামলায় সম্প্রতি দেবকে জেরার জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, একাধিক সাক্ষীর বয়ানে দেবের নাম উঠে এসেছে। এমনকি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও উঠে এসেছে। সেই টাকা টলিউডে বিনিয়োগের ইঙ্গিতও মিলেছে বলে জানা যায় গোয়েন্দা সূত্রে।
এমনকি মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের কাছ থেকে দেব দামি উপহার পেয়েছিলেন বলেও গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান দেব।
সেখানে তাঁকে মোট তিন দফায় জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর জন্য পাঁচ পাতার প্রশ্নমালা তৈরি রয়েছে বলেও খবর। তাঁর বয়ানের সঙ্গে সাক্ষীদের বয়ান মিলিয়ে দেখবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।