সমস্ত ঝড়-ঝাপটা সামলে পুজোর আগেই হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। পুজোর আগেই চাকরিপ্রার্থীদের মুখে হাঁসি ফটাল রাজ্য।
ওই সময় ২১ হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজ্যে। এরই মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে আশার আলো সঞ্চার করল শিক্ষা দফতর।
এই জটিল পরিস্থিতি কাটিয়ে নতুনভাবে শিক্ষক নিয়োগ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয় বদলানো হচ্ছে পুরোনো নিয়মও। আইনমন্ত্রীর কাছে নতুন নিয়ম পাঠানো হচ্ছে।
এদিন রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
মূলত সেখানেই উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রধান শিক্ষক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া কীভাবে করা যায়? তাই নিয়ে যাবতীয় আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর ব্রাত্য জানান, উচ্চ প্রাথমিক, নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রধান শিক্ষক ও নতুন শিক্ষকের পদে দ্রুত নিয়োগ শুরু হবে।
সেক্ষেত্রে ২১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। পুজোর আগেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে এদিন জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এছাড়াও, এই নিয়োগের নিয়মের ক্ষেত্রে পরিবর্তন করা হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী তিনি বলেন, ‘এই নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়মের বিস্তর বদল হচ্ছে। সেই নিয়মগুলি আমরা আইনমন্ত্রীর কাছে পাঠাচ্ছি।
অর্থাৎ বলাই বাহুল্য, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নতুন নিয়মেই করতে চাইছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এদিনের বৈঠক খুবই ফলপ্রসু হয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা হবে।
তবে বোর্ডের সঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের রোস্টার নিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছিল। সেই সমস্যা কীভাবে দূর করা যায়, সেই নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তবে এদিনের বৈঠকে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগামী ৮ তারিখ ওঁরা আমার কাছে চিঠি দিয়ে বৈঠকে বসতে চেয়েছিল। যদিও সেই চিঠি আমি এখনও হাতে পায়নি। সেই চিঠি পেলেই আগামী ৮ তারিখ বৈঠকে বসব।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এবং এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করেছেন ব্রাত্য বসু।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে বাংলায় শিক্ষকপদ শূন্য রয়েছে তার হিসেব দিয়েছে।
সেখানে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, নবম-দশম শ্রেণিতে ১৩ হাজার ৫১২টি একাদশদ্বাদশ শ্রেণিতে ৫ হাজার ৩২৭টি এবং ২ হাজার ৩২৫টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
অর্থাৎ সবমিলিয়ে ২১ হাজারের হিসেব দিয়েছিল। এদিন শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সেই কথাই জানালেন ব্রাত্য বসু।