কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত নবান্নের রাজ্যে সাড়ে ১১ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ

রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় স্বাস্থ্য দফতরে প্রায় সাড়ে এগারো হাজার জনকে নিয়োগ করা হবে।

এছাড়া খাদ্য দফতরেও নিয়োগ করা হবে। তবে সব নিয়োগই হবে চুক্তির ভিত্তিতে।

এছাড়া বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারকেও চাকরি দেওয়ার কথা জানানো হল। এদিন এই সিদ্ধান্তের কথা জানান দুই ক্যাবিনেট মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম।


তৃতীয়বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পরে শিল্প এবং কর্মসংস্থানের ওপর জোর দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই উদ্দেশ্য নিয়ে গ্রাম এবং শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নের ওপর জোর দিতে ১১ হাজার ৫৫১ জনকে নিয়োগ করা হবে।

এছাড়া খাদ্য দফতরে ডেটা এন্ট্রি অপারটের পদেও ৩৪২ জন নিয়োগ পাবেন। এই নিয়োগ হবে প্রকল্পভিত্তিক এবং চুক্তির মাধ্যমে।

এছাড়া মগরাহাটে নিহত দুই পরিবারের সদস্যকেও চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে। গত বছর হুগলি এবং মুর্শিদাবাদে বজ্রপাতে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও চাকরি দেবে রাজ্য সরকার কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ালেও কীভাবে প্রার্থী বাছাই করা হবে, কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, বেতন কাঠামো কীরকম, সেই প্রসঙ্গে এদিন কিছু জানানো হয়নি সরকারের তরফে।

এদিনের মন্ত্রিসভার তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাজ্যের ট্রাক টার্মিনালগুলিকে অধিগ্রহণ করবে রাজ্য সরকার।

টার্মিনালগুলিতে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ আসায় এই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। সেখানকার কর্মীদেরও চুক্তির ভিত্তিতে চাকরি দেবে রাজ্য। বেতন কাঠামোয় থাকা বৈষম্য দুর করা হবে।

পণ্যপরিবাহী আন্তর্জাতিক লরিগুলির কর কাঠামো সরলীকরণের জন্যও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এদিনের বৈঠকে।

এতদিন পর্যন্ত আলাদা আলাদা কর নেওয়া হত। এখন থেকে ন্যূনতম একটা কর দিয়ে যেতে পারবে লরিগুলি। পচনশীল সামগ্রীর লরিকে আগে ছাড়া হবে।

এরপর যাবে বাকি লরি। আজ মঙ্গলবার থেকেই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের জমায়েত শুরু হতে চলেছে।

ঠিক তার আগের দিন সিলিকন ভ্যালির জমি বন্টন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এই ভ্যালিতে এতদিন ইনফরমেশন টেকনোলজি সংস্থাকে জমি দেওয়া হত।

এবার থেকে সেখানে চিপ এবং সেমিকন্ডাক্টর প্রস্তুতারী সংস্থাকেও জমি দেওয়া হবে। এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যে অফিসারের সমস্যা নিয়েও কথা হয়েছে।

রাজ্যে আরও বেশি সংখ্যাক আইএএস এবং আইপিএস অফিসারের প্রয়োজন। এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী চিঠি দেবে কেন্দ্রীয় সরকারকে।

ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ সার্ভিস এবং ডব্লিউবিসিএস এর সংখ্যা বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এজন্য একটি কমিটি গড়া হচ্ছে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে।