• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে দালাল চক্র রুখতে ‘ফর্ম’ চালুর সুপারিশ

রোগীরা কোথায় কত দ্রুত পরিষেবা পেয়েছেন, বেডের জন্য তাঁদের কাছে পয়সা চাওয়া হয়েছিল কি না, ইত্যাদি ফর্মের মাধ্যমে তাঁরা জানাবেন। অভিযোগগুলি আলাদা আলাদাভাবে খতিয়ে দেখা হবে।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। ফাইল চিত্র

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে দালাল চক্রের রমরমা ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। সেজন্য বেড বিক্রির সমস্যা মেটাতে এবার ‘ফিডব্যাক ফর্ম’ চালুর সুপারিশ করল তদন্ত কমিটি। এই ফর্মের মাধ্যমে হাসপাতালের রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ‘বেড বিক্রি’ সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন। সেজন্যে বৃহস্পতিবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে বসানো হয়েছে একটি বোর্ড।

প্রসঙ্গত রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে রোগীদের শয্যা পেতে সমস্যা হয় বলে অনেকদিন থেকেই অভিযোগ রয়েছে। রোগীদের জানানো হয়, টাকা দেওয়া হলে তবেই মিলবে বেড। ভিতরে অনেক বড় দালালচক্র কাজ করে বলে প্রায়ই অভিযোগ উঠত। টাকা দিতে না পারলে হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পেতেন না গরিব মানুষরা। এই বিষয়ে অভিযোগ তুলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তার ও চিকিৎসক পড়ুয়ারা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিতে ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। কমিটির তরফে এবার রোগীদের ফিডব্যাক ফর্ম চালুর সুপারিশ করা হল। এই ফর্মের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, দালালচক্র রুখতে এই ফর্ম কাজে লাগবে।

মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক দীপময় ভট্টাচার্য বলেন, ‘স্বচ্ছভাবে কোথায় কত বেড খালি আছে, তা দেখে হাসপাতালের বাইরে বোর্ডে তা ঝোলাতে হবে। দালাল সমস্যা রুখতে আমাদের প্রস্তাব “ফিডব্যাক ফর্ম”। সাধারণ কিছু প্রশ্ন রেখে সরল ভাষায় ফর্ম তৈরি করতে হবে। রোগীরা কোথায় কত দ্রুত পরিষেবা পেয়েছেন, বেডের জন্য তাঁদের কাছে পয়সা চাওয়া হয়েছিল কি না, ইত্যাদি ফর্মের মাধ্যমে তাঁরা জানাবেন। অভিযোগগুলি আলাদা আলাদাভাবে খতিয়ে দেখা হবে। রোগীদের বেডের জন্য যাতে ঘুরতে না হয়, তাই আমাদের এই প্রস্তাব।’

ফলে অবশেষে পূরণ হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি। তাঁদের দাবি মেনেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে বৃহস্পতিবার বসানো হয়েছে বোর্ড। এই বোর্ডে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের কোন বিভাগে কত বেড খালি আছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে আরও একাধিক হাসপাতালে এই ধরনের বোর্ড বসানো হয়েছে।