শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় রাজীব কুমারের বিরুদে সিবিআইয়ের করা মামলার রায় ঘােষণা হবে বলে সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর। রায় দেবেন তিন বিচারপতির বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।
প্রসঙ্গত গত ২ মে থেকে স্থগিত কয়েছে এই মামলার রায়। এর আগে সারদাসহ রাজ্যের বিভিন্ন চিটফান্ড মামলার তদন্তের সুত্র ধরে কেন্দ্রীয় গােয়েন্দা সংস্থা সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযােগিতার অভিযােগ জানিয়ে মামলা করে। মামলার শুনানির সময় সিবিআই আদালতে একাধিকবার জানায়, সারদা মামলার তদন্তের প্রয়ােজন। যদিও বার বার তদন্তের স্বার্থে তাঁকে সমন পাঠানাে হলেও তিনি আসেননি।
সিবিআই সওয়ালে হলফনামা দিয়ে অভিযােগ করে রাজীব কুমার সেই সময় সারদা মামলার দায়িত্বে থাকা রাজ্য সরকার গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের অন্যতম প্রধান আধিকারিক ছিলেন। সিবিআই অভিযােগ করে, ওই সময়ে সারদা মামলার অনেক তথ্য নষ্ট করা থেকে শুরু করে তথ্যপ্রমাণ লােপাট করেছেন রাজীব কুমার।
দেশের শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় গােয়েন্দা সংস্থার সওয়াল শুনে রাজব কুমন্ত্রকে শিলংয়ে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখােমুখি হতে নির্দেশ দেয়, যদিও একই সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না বলেও নির্দেশ দেয়। ৫ দিন জেরার শেষে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের রিপোর্ট মুখ বন্ধ করা খামে আদালতকে জমা দিয়ে রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায়।
উল্টোদিকে রাজ্য সরকার ও রাজীব কুমার হলফনামা দিয়ে জানান যে, সিবিআইয়ের প্রাক্তন অন্তর্বর্তী অধিকর্তা নাগেশ্বর রাওয়ের স্ত্রী এবং মেয়ের বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের তদন্ত তাঁর নির্দেশে কলকাতা পুলিশ করছে। তাই উদ্দেশ্যপ্রণােদিতভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই হেনস্থা করছে তাঁকে।
দু’পক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতির তিন সদস্যের বেঞ্চ তাদের রায় স্থগিত রাখে। বুধবার নির্বাচন কমিশন এডিজি সিআইডি’র পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দফতরে যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেয়।
নির্দেশে বলা হয়, সকাল ১০টার মধ্যে নর্থ ব্লকে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। বিশেষ সুত্রে খবর, ৯টার বিমানে দিল্লি রওনা হন রাজীব কুমার। সেখানে বিমানবন্দর থেকে চলে যান বঙ্গভবনে। সেখান থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য কিছু সময় ছিলেন। এরপর বঙ্গভবনে ফিরে আসেন। জানা যায়, এরপর বিকেল থেকেই রাজ্যের অ্যাডভােকেট জেনারেল ও তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজীব কুমার।