শুক্রবার ভরা দুপুর,খা খা করছিল এসপ্ল্যানেড চত্বর।শহরের প্রাণকেন্দ্র হঠাৎ করেই বড় প্রাণহীন,নিস্তেজ। ঘূর্ণিঝড় ‘ ফণী ’ র চোখ রাঙানিতেই ছন্দ কেটেছিল শহরের রাজপথ থেকে উত্তর কলকাতার গলি, দক্ষিণ কলকাতার ঝাঁ চকচকে শপিং মল। শুক্রবার সকাল থেকেই শহরের সর্বত্র থমথমে পরিস্থিতি।আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর ,৩ মে রাত্রে অথবা ৪ মে ভােরে পশ্চিমবঙ্গে বিপুল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। আবহাওয়াবিদদের কথায়,বাংলায় প্রবেশ করার পর প্রথমে তা পূর্ব মেদিনীপুরে প্রবেশ করবে এবং তারপর পশ্চিম মেদিনীপুরে।তারপর হাওড়া,হুগলি,নদিয়া হয়ে রবিবার বাংলাদেশে চলে যাবে এই ঘূর্ণিঝড়।বাংলায় প্রায় ৮০ থেকে ১১৫ কিলােমিটার গতিবেগ নিয়ে আছড়ে পড়বে।এই ঝড় জানা যাচ্ছে এমনটাই।আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আয়লার থেকেও প্রায় দ্বিগুন শক্তিশালী এই ঝড়। এদিন সকাল সাড়ে এগারােটা নাগাদ বাজ পড়ে মৃত্যু হয় এক শিশুর |
ঝড়ের পূর্বাভাসে শুক্রবার থেকেই থমথমে ছিল শহর। এদিন দুপুর ১২ টা থেকে সমস্ত ফেরিঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। একটি লঞ্চের সঙ্গে আরেকটি লঞ্চ শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় বিপদ না কাটা পর্যন্ত।হকারদের না বসার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা।সেই মােতাবেক এদিন রাস্তাঘাটে দেখা পাওয়া যায়নি হকারদেরও। শহরের মধ্যে থাকা সমস্ত পার্কগুলি পুরসভার নির্দেশ মােতাবেক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও শহরের সর্বোচ্চ বিল্ডিং ‘দ্যা ৪২’ থেকে ক্রেন সরানােরও নির্দেশ দিয়েছে পুরকর্তৃপক্ষ।এছাড়াও শপিং মলগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফণী র জন্য শুক্রবার দুপুরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় সাউথ সিটি মল।রাস্তাঘাটেও এদিন যানবাহন ছিল অপেক্ষাকৃত অনেক কম।তবে পুরী থেকে আগত পর্যটকরা যাতে সঠিকভাবে গন্তব্যে পৌছাতে পারেন সেজন্য স্টেশনগুলিতে পর্যাপ্ত বাসের বন্দোবস্তু করা হয় প্রশাসনের তরফে।যদিও শুক্রবার ২৮৪ টি মেট্রো চলাচল করে বলে সূত্রের খবর।প্রসঙ্গত ফণীর জন্য ৩১ জোড়া লােকাল ট্রেন বাতিল করা হয়।