সিঙ্গুরের ‘দই’ এবং ‘ধোঁয়া’ নিয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নেটমাধ্যমে ঝড় তুলেছিল। নেটিজেনরা একাধিক মিম বানিয়ে শেয়ারও করেছিলেন। এখনও ফিঁকে হয়নি সেই স্মৃতি। এবার ফের বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন হুগলির সাংসদ। কিউসেকের বদলে বললেন কুইন্টাল। আর এর জেরেই বিজেপি নেতৃত্বের কাছে কটাক্ষের শিকার হলেন তিনি।
বুধবার বলাগড়ের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে দায়ী করেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কুইন্টাল কুইন্টাল জল বেরিয়ে আসছে। মানুষের বাড়িঘর কিচ্ছু নেই। সবাই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন। আর ওরা বলছে, জানিয়ে পাঠিয়েছে। যেটা হয়েছে, খুব খারাপ হয়েছে।’ রচনার এই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। এক নেতার কথায়, ‘ওঁকে মিউজিয়ামে রাখা উচিত।’
এদিন তিনি অভিযোগ করেন, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান করতে কেন্দ্রের তরফে কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন। বলাগড়েও ভাঙন নিয়ন্ত্রণে নেই বলেই দাবি তাঁর। ভাঙন নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করতে তিনি উদ্যোগ নেবেন বলে এদিন জানান। তবে এসবের মধ্যেই ‘কুইন্টাল’–মন্তব্য করে ফের বিরোধীদের ‘হাসির পাত্র’ হয়ে উঠলেন রচনা।
উল্লেখ্য, কিউসেক হল তরল প্রবাহের পরিমাপের একক। অপরদিকে ভর পরিমাপের ক্ষেত্রে কুইন্টাল একক ব্যবহার করা হয়। কুইন্টালে কখনই তরল পরিমাপ করা যায় না। আর এদিন এই ভুলটাই করে ফেললেন রচনা। এর জেরে তাঁর ন্যূনতম জ্ঞান নিয়েই প্রশ্ন তুলল বিজেপি নেতৃত্ব। হুগলি জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর উচিত হুগলির সাংসদকে মিউজ়িয়ামে রাখা। ওঁর ন্যূনতম জ্ঞান নেই। তাই ভুলভাল বকছেন।কপালে দুঃখ রয়েছে সাধারণ মানুষের।’
এর আগে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে এরকমই একাধিক বেফাঁস মন্তব্য করে কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘সিঙ্গুর এত ঘাস-গাছপালায় ভর্তি। সেগুলো গরু খাচ্ছে। আর সেগুলো খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে। ফলে তার যে দুধটা বেরচ্ছে তা এত ভালো যে দইটাও এত ভালো।’ অন্য একদিন প্রচারে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যখন আসছিলাম, তখন দেখলাম চারদিকে ধোঁয়া আর ধোঁয়া। চিমনি দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে। কে বলছে শিল্প হয়নি? দিদি তো কত শিল্প করে দিয়েছেন। আরও করবেন।’ এসব কন্টেন্ট নিয়েই তৈরি হয়েছিল একাধিক মিম।