অতিমারীর মধ্যে উৎসবের আন্তরিকতায় মিলল দুই বাংলা। পুজোর আচার-বিচারকে পেছনে রেখে দুই বাংলার মধ্যে উপহার বিনিময় শুরু হল। এবার দুর্গা পুজো উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শাড়ি, ফুল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সূত্রের খবর, দুর্গা পুজোর উপহার হিসেবে চারটে শাড়ি, ১০ কেজি মিষ্টি, এবং ফুল পাঠিয়েছেন হাসিনা। কলকাতায় থাকা বাংলাদেশের হাই কমিশনার তৌফিক হাসানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই উপহার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য।
মমতা ও হাসিনার এই সৌহার্দ্য বিনিময়ের রেওয়াজ বহুদিনের। আগেও দুজন দুজনকে উপহার পাঠিয়েছে। ভারতে এলে প্রায় প্রত্যেকবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শেখ হাসিনা। মাস কয়েক আগে ইডেন গার্ডেনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পিঙ্ক টেস্ট ম্যাচের সাক্ষী থাকতে এসেছিলেন হাসিনা। দু’জনে একসঙ্গে বেল বাজিয়ে ইডেনে ম্যাচের সূচনা করেছিলেন। হাসিনা ছাড়াও বাংলাদেশের অনেক আধিকারিকও উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
যতবারই এই দেশ তথা এই রাজ্যে পা রাখেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সাহায্য করার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন হাসিনা। এই শহরে বঙ্গবন্ধুর থাকার স্মৃতিচারণ করেন।
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলাদেশে গিয়ে হাসিনার বাড়ি গিয়েছেন। ঘুরে দেখেছেন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি। বাংলাদেশে হাসিনা-মমত বৈঠক যখনই হয়েছে দুজনের মধ্যে আন্তরিকতার ছবি ধরা পড়েছে। সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশের জলবন্টন নিয়ে দুই বাংলার মধ্যে সম্পর্কের বরফ অনেকটাই গলেছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কও অনেক মজবুত হয়েছে।
বাংলার আবেদনে সাড়া দিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে পদ্মার ইলিশ রফতানি করা হয়েছে এপার বাংলায়। যা পেয়ে বেজায় খুশি মাছে-ভাতে বাঙালি। এরপর পুজোর উপহার পাঠিয়ে দুই বাংলার মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা আরও একধাপ বাড়িয়ে নিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রতি উপহার পাঠাচ্ছেন হাসিনাকে।
এদিন পদ্মাপারের আরেক নারীকে পুজোর উপহার দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হলেন সৃজিতপত্নী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। বিয়ের পর এবারই প্রথম শ্বশুরবাড়িতে থেকে কলকাতায় পুজো দেখবেন মিথিলা। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর তরফে মিথিলাকে নীলাম্বরী শাড়ি এবং সৃজিতকে টুকটুকে লাল রঙের পাঞ্জাবি উপহার দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই খর ফেসবুকে পােস্ট করেছেন সৃজিতপত্নী মিথিলা।