কলকাতাতে ভরদুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে একবালপুরে কুপিয়ে হত্যা করা হল এক ব্যক্তিকে। বুধবার একবালপুর থানার অন্তর্গত ৬ নম্বর একবালপুর লেনে জনবহুল রাস্তার উপর একটি দোকানে ঢুকে সম্পর্কে জামাইবাবু আফতাব আলম (৪০) কে কুপিয়ে খুন করল তার শালা ইমরান ওরফে আসিফ।
আফতাব আলমের বাড়ি ভুকৈলাস রােডে। দুপুর তিনটে থেকে তিনটে পনেরাের মধ্যে হঠাৎই একবালপুর লেনের বাসিন্দারা দেখেন, আফতাব আলাম তার দোকান এনএস অ্যান্ড সন্স থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করতে করতে রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসছেন। তার পর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পুলিশি সূত্রে খবর , শালা ইমরান ওরফে আসিফ পারিবারিক কারণে জামাইবাবু আফতাব আলমকে দোকানে ঢুকে হঠাই ধারালাে ছুরি দিয়ে কোপাতে শুরু করে। আফতাব আলম চিৎকার করতে শুরু করলে ইমরান দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।রক্তাক্ত অবস্থায় আফতাব আলমকে প্রথমে একবালপুর নার্সিংহােম এবং তারপরে সি.এম.আর.আই তে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে ‘ব্রট ডেড’ ঘােষণা করে।
এই ঘটনার পর পলাতক ইমরানের বাড়ি ওয়াটগঞ্জ থানার অন্তর্গত ৩৪ / ১এ কবিতীর্থ সরণীতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। পরে অবশ্য পুলিশ ইমরানকে গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কিছু দিন আগে একবালপুর থানার অন্তর্গত ডা. সুধীর বােস রােডেও এইভাবে বাড়িতে ঢুকে মা মেয়ে সহ দুজনকে শিলের নােড়া দিয়ে মুখ থেতলে এবং ছুঁড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এক মেয়ে গুরুতর আহত হন। প্রাসঙ্গিক ভাবে এই ঘটনা একবালপুর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।