আর জি কর কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি দিতে হবে, দাবি আন্দোলনরত পড়ুয়াদের

আর জি কর কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি দিতে হবে। এই দাবি তুললেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। সোমবার গভীর রাতে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা জেনারেল বডি মিটিংয়ে বসেন। প্রায় চার হাজার ডাক্তারি পড়ুয়া সেই বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে বিভিন্ন দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দাবি, আর জি কর কাণ্ডে দ্রুত বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে হবে। দোষীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার শেষ করতে হবে। দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানান পড়ুয়ারা। জেনারেল বডি মিটিং থেকে ফাঁসির দাবিও তোলেন রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা।

আন্দোলনরত পড়ুয়ারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নারকীয় এই ধর্ষণ-খুনের সময় ডিউটিতে থাকা অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান, ডিন এবং সহকারী সুপারকে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। রাজ্য সরকারকে মৃত মহিলা চিকিৎসকের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি জীবনভর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে।


হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর দাবিতে সরব হয়েছে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। একই সঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসকদের জন্য যথাযথ ‘অন-কল রুম’-এর ব্যবস্থা করতে হবে। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের মারধরের ঘটনায় পুলিসকে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি তাঁরা জানিয়েছেন।

এদিকে আর জি কর কাণ্ডে মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রথম থেকেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। নারকীয় এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই আদালত আজ এই নির্দেশ দিয়েছে।

আর জি কর কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কিছু মামলা দায়ের হয়। সেই সব আবেদনের শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের কর্মকাণ্ড এবং এই মর্মান্তিক ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে হাসপাতালের সেমিনার কক্ষ থেকে ওই ট্রেনি চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। হত্যার আগে তাঁকে পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে তাঁকে প্রচণ্ড শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল।