• facebook
  • twitter
Friday, 3 January, 2025

সিঙ্গুর লোকালের যাত্রাপথ সম্প্রসারণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই লোকাল ট্রেন চালু করেছিলেন। সিঙ্গুর স্টেশন থেকে সকাল ৮টা ১২ মিনিটে ছাড়ে এই ট্রেন।

সিঙ্গুর কৃষিজমি আন্দোলনকে স্মরণীয় রাখার জন্য ১৫ বছর আগে চালু হয়েছিল ‘সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল ট্রেন’। এই ট্রেনটিই বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রেল। রেলের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন ট্রেনের যাত্রী থেকে শুরু করে সিঙ্গুরের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্নার নেতৃত্বে সিঙ্গুর স্টেশনে একটি প্রতিবাদ সভা করা হয়। আজ, বুধবার থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই লোকাল ট্রেন চালু করেছিলেন। সিঙ্গুর স্টেশন থেকে সকাল ৮টা ১২ মিনিটে ছাড়ে এই ট্রেন। ২০২৫-এর ১ জানুয়ারি থেকে এই ট্রেনটি হঠাৎ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। প্রায় ১৫ বছর ধরে এই ট্রেন চলছে। রেল কেন হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তা নিয়ে তুমুল প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। পথে নেমে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন যাত্রী তথা সিঙ্গুরের বাসিন্দারা।

মন্ত্রীর দাবি, রেলের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার দলমত নির্বিশেষে ট্রেনের যাত্রীদের নিয়ে সকালে হাওড়া থেকে আসা তারকেশ্বর লোকাল ট্রেন আটকে দেওয়া হবে। ‘সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল’ তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে তৃণমূলের বিক্ষোভকে কটাক্ষ করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বক্তব্য, ‘সিঙ্গুর আন্দোলনকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা রাজভোগ খাচ্ছে, কৃষকদের কথা ভাবছে কোথায়?’
বিজেপির কনভেনার মধুসূদন দাসের দাবি, এই রাজ্যে সবথেকে বড় আন্দোলন হয়েছে আরজি করের ঘটনা নিয়ে। তিনি বলেন, “রেলকে বলব আরজি কর আন্দোলনের জন্য প্রতিটি শাখায় একটি করে ট্রেন বাড়ানো উচিৎ তিলোত্তমার নামে।”

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “যাত্রীদের চাহিদা আছে। সেই অনুযায়ী দুটি সিঙ্গুর লোকালের একটি তারকেশ্বর থেকে ও একটি হরিপাল থেকে চলবে। তাতে সিঙ্গুরের যাত্রীদেরও সুবিধা হবে। ট্রেন তুলে নেওয়া হয়নি।