প্যানিক বোতাম (বিএলটিডি) সংক্রান্ত পরিষেবা নির্দিষ্ট সময় অন্তর পুনর্নবীকরণের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই নির্দেশিকা নিয়ে আপত্তি তুলে আজ, শুক্রবার এ বিষয়ে পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করবেন বেশিরভাগ পরিবহন সংগঠনগুলি। এ বিষয়ে তাঁরা মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাবেন।
দুই বছর আগে সব রকম যানবাহনে ভিএলটিডি লাগানো বাধ্যতামূলক করেছিল রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই পরিষেবা রাজ্যের সব ধরনের যানবাহনে লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এই প্রযুক্তি গাড়িতে লাগানো না হলে সেই গাড়ি রাস্তায় বের করার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়। এই প্রযুক্তিতিতে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে প্যানিক বোতামে চাপ দিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন যাত্রীরা। কিন্তু বেসরকারি সংগঠনগুলির দাবি, প্রয়োজনে প্যানিক বোতামে চাপ দেওয়া হলেও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় না।
রাজ্য সরকারের জারি করা নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব গাড়ির ভিএলটিডি পরিষেবাগুলি নির্দিষ্ট সময়ে পুর্ননবীকরণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আট বছরের কমবয়সি গাড়িগুলিকে কমপক্ষে দুই বছরের জন্য এই পরিষেবা পুনর্নবীকরণ করতে হবে। আটের থেকে বেশি বয়সি গাড়িগুলিকে প্রতি বছর পুনর্নবীকরণ করতে হবে। এর জন্য খরচ হবে ২০০০ টাকা। এই নির্দেশ বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে পরিবহণ দপ্তর। এতেই আপত্তি জানিয়েছে বেসরকারি সংগঠনগুলি। তাঁদের প্রশ্ন, এই বোতাম ব্যবহার করে যদি কোনও পরিষেবাই না পাওয়া যায় তাহলে পুনর্নবীকরণের জন্য অর্থ খরচ করে কী লাভ হবে? যদি যাত্রীরা এই পরিষেবার সুবিধা পেতেন তাহলে তাঁদের এই নিয়ে কোনও আপত্তি থাকত না।
এই নিয়ে আজ মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাবেন বেসরকারি সংগঠনগুলি। নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে এই নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাবেন সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, করোনার পর বাসমালিকরা যাতে কম খরচে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে পারে সরকারের সেই ব্যবস্থা করা উচিত। তা না করে যে প্রযুক্তির কোনও উপযোগিতা নেই সেই প্রযুক্তির জন্য অযথা টাকা খরচ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।