প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন মানিক ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল। মঙ্গলবার জামিন পান তিনি। গ্রেপ্তারির দেড় বছরের বেশি সময় পর জামিন পেলেন তাপস। এস বসু রায় কোম্পানির আধিকারিক কৌশিক মাঝিও এদিন জামিন পান। এই একই মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অয়ন শীলের জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত।
রাজ্যের ডিএলএড কলেজগুলির সংগঠনের সভাপতি ছিলেন এই তাপস মণ্ডল। ২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাপস মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। সেই সময় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকে।
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের আদিবাড়ি তাপস মণ্ডলের। অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে থাকেন তিনি। আগে বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তৃণমূলের জামানায় তিনি শাসক ঘনিষ্টদের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করেন।
অভিযোগ, পাঁশকুড়া অঞ্চলের একাধিক বাসিন্দাকে তাপসের হাত ধরে সরকারি চাকরি পান। এজন্য রীতিমতো মোটা টাকা নেন তিনি। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছের লোক ছিলেন তাপস।
সিবিআইয়ের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণামূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত তাপস মণ্ডল। এর আগেও একবার চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। তাপস একাধিক ট্রাস্ট চালান। সেই ট্রাস্টের অধীনে রয়েছে আরও বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সেপ্টেম্বর মাসে জামিন পান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। প্রায় দু’বছর জেলে ছিলেন তিনি।