আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের আবহের মধ্যেই এবার রেড রোডে শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজোর কার্নিভালের প্রস্তুতি। প্রতিবারের মতো এবারও রেড রোডের উপর মঞ্চ তৈরি করা থেকে শুরু করে আলো, ইন্টারনেট পরিষেবা এবং অন্যান্য কাজের জন্য দরপত্র চাইল রাজ্য সরকার। এদিন রেড রোডে কার্নিভাল নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০১৬ সালে রেড রোডে কার্নিভালের সূচনা হয়। তার পর থেকেই প্রতি বছর হয়ে আসছে কার্নিভাল। যত বছর এগিয়েছে, ততই জনপ্রিয়তা বেড়েছে কার্নিভালের। ২০২২ সালে কলকাতার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ–এর স্বীকৃতি পাওয়ার পর কার্নিভালের জমক আরও বেড়ে যায়। এবার দুর্গাপুজোর কার্নিভাল হবে ১৫ অক্টোবর। সে কথা জুলাই মাসেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেইমতো রাজ্যের পূর্ত দফতরের তরফে কার্নিভালের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে রেড রোডে।
রাজ্য সরকারের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে কার্নিভালে বড় গাছপালা কাটার পাশাপাশি রাস্তা মেরামত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া রাস্তায় যথাযত পরিমাণে আলো, এবং লাইভ সম্প্রচারের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে ৯ অক্টোবর অর্থাৎ ষষ্ঠীর মধ্যে কার্নিভালের সমস্ত কাজকর্ম শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারেও কার্নিভালে উপস্থিত থাকবেন বহু ভিভিআইপি।
৯ অক্টোবরই দেবী দুর্গার বোধন। কিন্তু, আরজি কর কাণ্ডের আবহে এবারের পুজোতে সাধারণ মানুষের মন ভারাক্রান্ত। উৎসবের আড়ম্বরতা নেই কোথাও।
বর্তমান পরিস্থিতিতে কার্নিভালে কতগুলি পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করবে তা অনিশ্চিত থেকে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের দেওয়া অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে বহু ক্লাব। দুর্গাপুজোর অনুদান একের পর এক ক্লাবগুলি ফিরিয়ে দেওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবান্ন থেকে পুজো কমিটিগুলোকে উৎসবে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, ”আমি অনুরোধ করছি, এবার উৎসবে ফিরুন, পুজোয় ফিরুন।” জানা গিয়েছে, কার্নিভালের কাজের জন্য ৭০ লাখ টাকার দরপত্র চেয়েছে রাজ্য সরকার। অনলাইনে এনিয়ে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৩ সেপ্টেম্বর।