সন্তান প্রসবের সময় সরকারি হাসপাতালে ফের অসুস্থ প্রসূতি

প্রতীকী চিত্র

বিতর্কিত স্যালাইনের জেরে ফের অসুস্থ আরও এক প্রসূতি। জলপাইগুড়ির সরকারি হাসপাতালেই ঘটেছে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ঘটনায় পুলিশের কাছে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। সূতির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে, জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের চিকিৎসকদের গাফিলতিতে সন্তানের জন্ম দিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ওই প্রসূতি। বিতর্কিত স্যালাইন দেওয়ার জেরেই ঘটেছে এই ঘটনা।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডা. কল্যাণ খাঁ জানান,
‘ঘটনার তিনমাস আগে থেকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিতর্কিত স্যালাইন ব্যবহার বন্ধ রয়েছে। আর এখানে কোনও গাফিলতির ঘটনা ঘটেনি। সন্তান প্রসবের আগে থেকেই প্রসূতির কিডনির সমস্যা ছিল। কারোর আগে থেকে সমস্যা থাকলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কিছু করার থাকে না। তবু তদন্ত করে হচ্ছে।’

জানা গিয়েছে, অন্ত্বঃসত্তা ছিলেন জলপাইগুড়ির উত্তম মাতব্বরের স্ত্রী সান্ত্বনাদেবী। তিনি কোতয়ালি থানার অন্তর্গত নন্দন কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা। গত ২৯ ডিসেম্বর এই প্রসূতিকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। সেই দিনই সিজারের মাধ্যমে তাঁর এক সন্তানের জন্ম হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, কিডনিজনিত সমস্যার কারণে সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। প্রসবের চারদিনের মাথায় তাঁর অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। অবশেষে গত ২ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। এখন সেখানে চিকিৎসাধীন থাকলেও পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। এমনকি ঘটনার তদন্ত চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।