আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে রক্তদান করে পুলিশকর্মীরা বড় ভূমিকা পালন করছেন : মুখ্যমন্ত্রী

প্রতিকি ছবি (Photo: IANS)

গ্রীষ্মকালে ব্লাডব্যাঙ্কগুলোতে রক্তের চাহিদা থাকে সর্বাধিক। এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই মারণ রোগ করোনার কোপ। গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলায় জারি রয়েছে লকডাউন। গৃহবন্দি মানুষ। নেহাত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া মৃত্যুকে ডেকে নেওয়ার শামিল। এরই মধ্যে চিকিৎসার প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হন মধ্য কলকাতার বাসিন্দা কণিকা মজুমদার। এদিকে, ব্লাডব্যাঙ্কে রক্তের অমিল। এই পরিস্থিতিতে নিজেই রক্তদান করে গুরুতর অসুস্থ প্রৌঢ়ার প্রাণ বাঁচান বউবাজার থানার অ্যাডিশনাল ওসি।

ওই পুলিশ আধিকারিকের প্রশংসা করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং এই সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে যাতে বাংলার ব্লাডব্যাঙ্কগুলিতে রক্তের জোগান যাতে বজায় থাকে তার জন্য নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুলিশকর্মীদের রক্তদান কর্মসূচি আয়োজনের নির্দেশ দেন তিনি। একমাসব্যাপী কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এই কর্মকাণ্ড সংগঠিত হবে। তবে শুধু কলকাতাতে নয়, জেলাগুলিতেও একইভাবে মানুষের জীন বাঁচানোর চেষ্টায় রক্তদান কর্মসুচি আয়োজিত হবে।

বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রক্তদান কর্মসুচির শুভ সূচনা হয়। পুলিশকর্মীদের উৎসাহ দিতে সেখানে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। এছাড়া ছিলেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল অনুজ শর্মা সহ পুলিশের শীর্ষকর্তারা। রক্তদানকারী পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদের জন্য পুষ্টিকর খাবারের যোগান যথাযথ রয়েছে কিনা তারও খোঁজ নেন তিনি। এই সঙ্কটকালে পুলিশকর্মীরা যেভাবে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে চলেছেন তার জন্য গোটা পুলিশ পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মুখ্যমন্ত্রী।


তিনি বলেন, এই সময়ে পুলিশকর্মীদের সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করতে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, লকডাউন কার্যকর করার সঙ্গে এইভাবে রক্তদান করে আর্ত মানুষকে বাঁচানো। সাধারণ বিষয় নয়। এই অসাধ্য সাধন করছেন পুলিশকর্মীরা। ধন্যবাদ জানান তিনি সেন্ট্রাল ব্লাডব্যাঙ্কের সকল কর্মীকে। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের ব্যারাকে যাতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলেন পুলিশকর্মীরা সে নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী।

বুধবার থেকে শুরু এই কর্মসূচি চলবে গোটা এপ্রিল মাস। প্রতিদিন ৫০ জন করে পুলশকর্মী রক্তদান করবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের শিবির। বড় সড় খোলামেলা হওয়ায় এই জায়গাটিই রক্তদান শিবিরের জন্য যথোপযুক্ত বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সুষ্ঠভাবে কর্মকাণ্ড সংগঠিত সম্ভব বলেন তিনি।

ট্রাফিক থেকে গোয়েন্দা বিভাগ, কমব্যাট ফোর্স থেকে প্রতিটা ডিভিশন ও থানার তরফ থেকে প্রতিদিন ৫০ জন করে রক্তদান করবেন বলে জানা গিয়েছে।