৪ দিনেই কেল্লাফতে পুলিশের, গ্রেপ্তার শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের ৪ চক্রী

প্রতীকী ছবি।

মাত্র ৪ দিনে হাড়হিম করা হত্যামামলার সমাধান করল পুলিশ! জয়গাঁওতে গত ১৬ নভেম্বর পাওয়া গিয়েছিল এক বেসরকারি স্কুলশিক্ষকের মৃতদেহ। তাঁর যৌনাঙ্গ কেটে মুখে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অত্যন্ত দ্রুততা এবং দক্ষতার সঙ্গে সেই ঘটনার তদন্তপদ্ধতি সারল আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ।

পুলিশি সূত্রে খবর, গত ১৬ নভেম্বর ভোরবেলা শান্তবীর লামা নামে ওই শিক্ষকের খণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, তিনি অত্যন্তই নিরীহ মানুষ ছিলেন। কারও সাতেপাঁচে থাকতেন না। তিনি একটি স্থানীয় গির্জার সঙ্গে মিলে জনকল্যাণমূলক নানা কাজও করতেন। এমন নির্বিবাদী ও পরোপকারী মানুষকে এরকম নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে।

পুলিশ এই ঘটনায় মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে ২ জন, যথা পান্ডু রাই এবং বিজয় সুব্বা হচ্ছে সুপারি কিলার। বাকি ২ জন, অর্থাৎ রোহিত থাপা এবং পাসাং লামা ওই ২ সুপারি কিলারকে ভাড়া করেছিল শান্তবীরকে খুন করার জন্য। পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, তাঁরা অপরাধীদের শুধু গ্রেপ্তারই করেননি, সেই সঙ্গে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কারণও অনুসন্ধান করে জানতে সক্ষম হয়েছেন।


প্রাথমিক তদন্তে হত্যার ধরন দেখে পুলিশের অনুমান ছিল, এটা ‘ক্রাইম অফ প্যাশন’। নিহতের প্রতি প্রবল ক্রোধবশত এতটা নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরে তদন্তের অগ্রগতি হলে এবং গ্রেপ্তারি হলে জানা যায়, রোহিত আর পাসাং মৃত শান্তবীরের থেকে দেড় লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল। ওই টাকা যাতে আর শোধ দিতে না হয়, তাই শান্তবীরকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

ধৃতদের মধ্যে রোহিতের পূর্ব অপরাধের ইতিহাস রয়েছে। রোহিত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সক্রিয় কর্মী। এককালে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও ছিল সে। ২০১৭ সালে ডুয়ার্স অঞ্চলে একটা দ্বন্দ্বের ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।