• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় কেশপুরে এক অধ্যাপকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করল পুলিশ

এক অধ্যাপকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরে। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযােগ তুলেছেন পরিবারের লােকেরা।

প্রতীকী ছবি (File Photo: iStock)

বিয়ের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় এক অধ্যাপকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরে। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযােগ তুলেছেন পরিবারের লােকেরা। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্তে নেমেছে কেশপুর থানার পুলিশ।

মৃতের নাম প্রতীম মাইতি। বাড়ি, কেশপুর ব্লকের অধিচক গ্রামে দাসপুর থানার নাড়াজোল রাজ কলেজের অধ্যাপক ছিলেন প্রতীম। জানুয়ারি মাসেই বিয়ে করেছিলেন তিনি। স্ত্রী ব্রততী পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের মাধ্যমে দেখাশােনা করে বিয়ে হয় দুজনের।

পরিবারের লােকেদের দাবি, সােমবার মাঝরাতে বাড়িতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই অধ্যাপক। প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

হাসপাতালে প্রতীমকে মৃত বলে ঘােষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃতের পরিবারের লােকেদের দাবি, প্রতীমের স্ত্রী ব্রততী, অত্যন্ত আধুনিকা। বিয়ের পর শাড়ী না পরে সালােয়ার কামিজ পরতে চাইতেন তিনি। গ্রাম্য পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ছিল না একেবারেই। এই শহুরে চালচলন নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বিবাদের সূত্রপাত।

সেই বিবাদের কারণে প্রতীমকে খুন করেছে তাঁর স্ত্রীই। যদিও ব্রততীর পাল্টা অভিযােগ, স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একেবারেই স্বাভাবিক ছিল। বরং শ্বশুরবাড়ির লােকেরা দুর্ব্যবহার করতেন। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন অধ্যাপকের বাড়ির ও তার শ্বশুরবাড়ির লােকেরা। তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে মৃত আধ্যাপরে বাড়িতে শােকের ছায়া নেমে আসে