করোনাকালীন ভীতির আবহে যেন খুশির হাওয়া নিয়ে এল সুরাপ্রেমীদের কাছে। রবিবারই খবরটি ঝড়ের গতিতে চাউর হয়ে যায় রাজ্যের সর্বত্র। মদ বিক্রিতে ছাড়পত্র মিলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। মদ বিক্রি যে বন্ধ ছিল এমন নয়। চোরাগোপ্তা ভাবে বাড়তি ট্যাকের কড়ি খরচ করে সুরাপ্রেমীরা নিজেদের চাহিদা ঠিক পূরণ করছিলেন লকডাউনের মরসুমেও। তবে এবার আর রাখঢাক নয়, সদর্পে দোকানের সামনে দাঁড়িয়েই পছন্দের মদের বোতলটি করায়ত্ত করতে পারবেন মাদকাসক্তরা।
সোমবার থেকেই কনটেনমেন্ট জোন বাদে রাজ্যের সর্বত্র খুলেছে মদের দোকান। বার, শপিং মল বাদে স্ট্যান্ড অ্যালোন মদের দোকানগুলিই খোলার ছাড়পত্র পেয়েছে। এছাড়াও রেড জোনে বেঁধে দেওয়া হয়েছে বিক্রির সময়। তবে খোলাখুলি মদ কেনার ছাড়পত্র মিললেও তা যে এতটাও সহজ হবে না তা সোমবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বুঝে গিয়েছিলেন সুরাপ্রেমীরা।
এক একটি মদের দোকানের সামনে বিশাল লম্বা লাইন। কোনটি আবার এক কিলোমিটারের কাছাকাছি। এখানেই শেষ নয়, করোনা ভুলে শহরের বিভিন্ন স্থানে গা ঘেঁষাঘেঁষি করেও লাইনে দাঁড়িয়েছে মানুষ। নেশা ভুলিয়ে দিয়েছে অজানা রোগের মারণ ছোবলকেও।
মদের দোকানের সামনে লাইন দিতে গিয়ে ঠেলাঠেলি হুড়োহুড়ি করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। বাধ্য হয়েই কালীঘাট অঞ্চলে লাঠিচার্জ করে ভিড় সামাল দিতে বাধ্য হন পুলিশকর্মীরা। ভবানীপুর, হাজরা, কালীঘাট সহ মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় মদের দোকানের সামনে চিত্রটা ছিল প্রায় একই রকম। তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করার ঘটনা কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়নি।
শহরে ২২টি স্ট্যান্ড অ্যালোন মদের দোকান খুলেছে। মদ বিক্রির ক্ষেত্রে ১৫ দফা প্রশাসনিক নির্দেশ জারি হয়েছে রাজ্যে। ক্রেতাদের মধ্যে ৬ ফুটের দূরত্ব রাখতে হবে। মাস্ক না পরে এলে মদ মিলবে না। কেউ যাতে স্টক করতে না পারে তার জন্য দুটির বেশি মদের বোতল বিক্রিতে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বাড়তি ৩০ শতাংশ কর বরাদ্দ করা হয়েছে। সামাজিক বিধি মেনে মদ বিক্রির প্রক্রিয়া মানা হচ্ছে কিনা তার ওপর থাকবে পুলিশের কড়া নজরদারি।