• facebook
  • twitter
Saturday, 11 January, 2025

আরাবুল ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু পুলিশের

আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলামের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করল পুলিশ। থানায় অভিযোগ দায়ের নিয়ে আরাবুল কিছু বলতে চাননি।

ফাইল ছবি

তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন শুক্রবার। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলামের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করল পুলিশ। ভাঙড়-১ ব্লকের বন এবং ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আহছান মোল্লা বিজয়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আরাবুল ও হাকিমুলের নামে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, আরাবুল, তাঁর ছেলে-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধেও খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আরেক দাপুটে তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার গোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে আরাবুল-সহ তাঁর অনুগামীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনাতেই আরাবুল, তাঁর ছেলে সহ-১০ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সাসপেনশনের পর থেকে কার্যত মুখ খোলেননি আরাবুল ইসলাম। থানায় অভিযোগ দায়ের নিয়ে আরাবুল বা তাঁর পুত্র – কেউ কিছু বলতে চাননি।

তৃণমূল বিধায়ক তথা ভাঙড়ের দলীয় পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ খইরুল ইসলাম বৃহস্পতিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, পঞ্চায়েত অফিসে ঢোকার সময় তাঁদের প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। সে দিন পুলিশ না থাকলে ওরা প্রাণে মেরে ফেলত। এদিকে আরাবুলের ছেলে তথা জেলা পরিষদের সদস্য হাকিমুল বলেন, এখানে অশান্তি করার পরিকল্পনা করছে ওরা। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই দিনের সংঘর্ষের আরাবুলের বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করেন ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক শওকত। আরাবুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে তাঁকে ভাঙড়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধও করেন শওকত। এরপরই শুক্রবার বৈঠকে বসে তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। সেই বৈঠকে ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বৈঠকে আলোচনার প্রেক্ষিতে আরাবুলকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে আরাবুল সাসপেন্ড হতেই পুলিশ যেভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তাতে আরাবুল ইসলামের গ্রেপ্তারির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে শুক্রবার আরাবুলকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। এর আগেও আরাবুল গ্রেপ্তার হয়েছেন। আইএসএফ কর্মীকে খুনের অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ভাঙড়ের দাপুটে নেতাকে গ্রেপ্তার করেছিল উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। ৭ মাস পর জেল থেকে মুক্তি পান তিনি। জেল থেকে বেরোতেই ফের আরাবুলকে ঘিরে তৃণমূলে অশান্তি শুরু হয়।