• facebook
  • twitter
Monday, 7 October, 2024

অনশন না উঠলে কড়া পদক্ষেপ! পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ইঙ্গিত সিপির

ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনের বিরুদ্ধে 'উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে পুলিশ', সোমবার সকালে এমনটাই জানালেন নগরপাল মনোজকুমার ভার্মা।

ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনের বিরুদ্ধে ‘উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে পুলিশ’, সোমবার সকালে পিটিএসে ‘পুজো দর্শন’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এমনটাই জানালেন নগরপাল মনোজকুমার ভার্মা।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে ধর্মতলা চত্বর জুড়ে ১৬৩ ধারা (ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা) জারি করে কলকাতা পুলিশ। তারপরেই গত শুক্রবার রাত থেকে ধর্মতলা চত্বরে দশদফা দাবি নিয়ে অনশনে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বস্তুত পক্ষে, প্রাথমিকভাবে সেই অনশনের কোনও আগাম অনুমতি না থাকলেও শুক্রবার রাতেই পুলিশের অনুমতি চেয়ে ই-মেল করা হয়। তার উত্তরে ১৬৩ ধারা জারি থাকার কারণে অনশনে অনুমতি দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। কিন্তু পুলিশি অনুমতিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অনশন অতিক্রম করেছে তিন রাত।

প্রাথমিকভাবে সেই অনশনে ছ’জন অংশ নিলেও রবিবার রাতে তাতে যোগ দিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো। একই সঙ্গে সোমবার সকাল থেকে যোগ দিয়েছেন আরও জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে তাঁদের অবস্থানে যে অনুমতি নেই তা আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়ে কলকাতার নবনিযুক্ত নগরপাল মনোজকুমারের সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ করা হবে’। যদিও সেই পরবর্তী পদক্ষেপ কবে এবং কীভাবে গ্রহণ করা হবে সে বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি তিনি। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, এখনই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না পুলিশ।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় ‘পুজো দর্শন’ অনুষ্ঠানের। যার মাধ্যমে শহরের বয়স্ক নাগরিক এবং বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের বাসে করে একাধিক বড় পুজো দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। চলতি বছর এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন চার হাজারের বেশি বয়স্ক নাগরিক এবং দু’হাজারের বেশি বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশু। এদিন সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিতে গিয়েছিলেন নগরপাল।

অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কলকাতা পুলিশ অনেক দিন ধরেই এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত। আমাদের ২২ হাজারের বেশি সদস্য রয়েছেন, যাঁরা পুজোয় ইচ্ছা মতো ঘুরতে, বেরোতে পারেন না। সারা বছরই পুলিশ ওঁদের খোঁজ রাখে। ২২টি বাসে করে ঘোরানো হচ্ছে। সকলের খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্তও করা হয়েছে।’