• facebook
  • twitter
Thursday, 30 January, 2025

মমতার হস্তক্ষেপে রাজভবনে পুলিশের ব্যান্ড

বিকেলে রাজভবনে চা–চক্র অনুষ্ঠানে যোগদান করতে যান মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব চিত্র

ভারতের ৭৬তম সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে রাজভবনে কলকাতা পুলিশের ব্যান্ডকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হস্তক্ষেপেই রাজভবনে ঢোকার অনুমতি পান কলকাতা পুলিশের ব্যান্ড। এবিষয়ে রাজভবনের তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, প্রতিবার কলকাতা পুলিশের ব্যান্ডের জন্য যে জায়গাটি নির্ধারিত থাকে, সেটি এবারে পরিবর্তন করা হয়েছে। জায়গা বিভ্রাটের জেরেই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে তা শুধরে নেওয়া হয়।
রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে এই টানাপড়েনের আবহে ফের কলকাতা পুলিশের ব্যান্ডকে রাজভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রতি বছরই রাজভবনে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে কলকাতা পুলিশের ব্যান্ড বাজনা পরিবেশন করেন। তবে এবছর ব্যান্ডের সদস্যরা অনুষ্ঠানের জন্য রাজভবনে ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। পরে ঢুকতে দেওয়া হলেও মূল অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনে তাঁদের ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। নির্দিষ্ট একটি জায়গায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।
বিকেলে রাজভবনে চা–চক্র অনুষ্ঠানে যোগদান করতে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানান। এরপর তিনি সোজা চলে যান সংশ্লিষ্ট গেটের সামনে। সেখানে পৌঁছে কেন কলকাতা পুলিশের ব্যান্ডকে বাধা দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, রাজ্য সরকারই রাজভবনের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। তাই কলকাতা পুলিশের ব্যান্ডকে ঢুকতে দেওয়া না হলে তিনিও ঢুকবেন না। এরপরই রাজভবনের অনুষ্ঠানে পুলিশের ব্যান্ডকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাজনা পরিবেশন করেন তাঁরা।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)–র দুটি ব্যান্ডকেও বাজনা পরিবেশন করতে দেখা গিয়েছে। তাহলে কেন কলকাতা পুলিশের ব্যান্ডকে ঢুকতে দেওয়া হল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘রাজভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে কলকাতা পুলিশ। সেখানে তাদের সঙ্গে এই ধরনের ব্যবহার কখনওই কাম্য নয়।’
শুধু কলকাতা পুলিশের ব্যান্ড নিয়েই বিতর্ক নয়, এদিনের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকার পাশে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ছবির পাশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি রাখাকে কেন্দ্র করেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর জেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপস্থিত অতিথিরা। তবে এদিন রাজভবনে প্রায় ৪০ মিনিট ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি রাজ্যপাল ও তাঁর সহধর্মিণীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন। সোমবার রাজভবনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য অতিথিরা।