সীতারাম মুখোপাধ্যায়, আসানসোল: অপরাধী ধরার ক্ষেত্রে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের নিরসা থানার পুলিশ একটি বড়সড় সাফল্য পেলো। শুক্রবার রাতে তেতুলিয়ার গোপালগঞ্জ ন্যাশনাল স্টেট রোডের দিল্লি কলকাতা লেনে বিহার নম্বরের বোলেরোতে থাকা দুই সশস্ত্র শুটারকে গ্রেফতার করে। বাকি তিনজন পালিয়ে যায়। নিরসা থানার ইনচার্জ মনজিৎ কুমার তার দেহরক্ষী ও সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীকে দেখে কিছুক্ষণের জন্য আশপাশের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে তিনটি দেশী পিস্তল, ৮টি কার্তুজ ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া দুজনই বিহারের পাটনা ও শেখপুরার বাসিন্দা বলে নিরসা পুলিশ জানায়। ৫ জনের এই শুটারের দল পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে এক সোনা ব্যবসায়ীকে খুন ও লুটের পরিকল্পনা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিহার থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলো বলে নিরসা থানার পুলিশ জানতে পারে। ধৃত দুজনকে গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের নাম ও ঠিকানা পুলিশ জানতে পেরেছে। এর পাশাপাশি পালিয়ে যাওয়া তিনজনের নাম ও ঠিকানা তারা নিরসা থানার পুলিশকে তারা জানিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে নিরসার এসডিপিও রজত মানিক বাখালা বলেন , এই সন্ধ্যায় নিরসা থানার ইনচার্জ মনজিৎ কুমার নেতৃত্বে পুলিশের দল অভিযানের সময় নিরসার জাতীয় সড়কে বিহার নম্বরের বোলেরো গাড়ি আটকায়। তাতে পাঁচজন ছিলো । তার মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা আসানসোলের দিকে যাচ্ছিলো। এরা আসানসোলে একটি বড় ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলো বলে জেরায় স্বীকার করেছে। তারা নিরসা থানা এলাকার রাস্তা দিয়ে আসানসোলের দিকে যাচ্ছিলো। সেই সময় পুলিশ বাহিনীকে দেখে রাস্তার মাঝখানে গাড়িটি দাঁড় করায়। পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করছিলো। বোলেরোর পেছনে বসা দুই শুটারকে আটক করা হয়। দু’জনের কোমরে পিস্তল ছিলো। দুজনকেই আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিরসার এসডিপিও রজত মানিক বাখালা শুক্রবার রাতে নিরসা থানায় সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, পুলিশ এটিকে একটি বড় সাফল্য হিসাবে বিবেচনা করছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইপিসি বা ভারতীয় দন্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা আপাততঃ জেলে রয়েছে। পুলিশ তিন পলাতক শুটারকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে বলে এসডিপিও জানান।