গত ৩ অক্টোবর পিনকন মামলায় বেআইনি অর্থলগ্নী সংস্থা পিনকন মামিলায় কর্ণধার মনােরঞ্জন রায় সহ ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক। তবে তার আগেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন মনােরঞ্জন রায়-এর স্ত্রী মৌসুমী রায়। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের তালিকায় ছিল তাঁরও নামও।
চাপে পড়ে অবশেষে ১৭ নভেম্বর তামলুকের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক থার্ড কোর্ট সঞ্জীব দে’র এজলাসে এসে আত্মসমর্পণ করেন মৌসুমি রায়। তবে আদালতে এসে বিচারকের কাছে তিনি দাবী করেন, করােনা পজিটিভ রয়েছে তাঁর। তাকে ক্ষমা প্রদর্শন করতে আবেদন করেন মৌসুমি রায়। এর সমর্থনে একটি করােনা পজিটিভ রিপাের্ট আদালতে জমা করেন তিনি।
আজ করােনা নেগেটিভ রিপাের্ট নিয়ে আদালতে ফের তাকে হাজির করানাে হয়। আদালত তাকে রা ডিসেম্বর পিকন মামলার রায়ই পুনর্বহাল রাখলেন। মৌসুমী রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন।
প্রসঙ্গত, পিনকন অর্থলগ্নী সংস্থায় টাকা ফেরৎ না পেয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানায় ২০১৭ সালে একটি মামলা রুজু হয়। সেই মামলার সূত্র ধরেই ওই বছরের নভেম্বর মাসে রাজস্থান থেকে পিনকনের অন্যতম ডিরেক্টর মনােরঞ্জন রায় সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে ডিরেক্টর অফ ইকোনমিক অফেন্স বা ডিইও-এর আধিকারিকরা।