একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। খড়গপুর সদরের বিধায়ক তথা চলচ্চিত্রাভিনেতা হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় ওরফে হিরণ।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিরণ তৃণমূলের প্রার্থী প্রদীপ সরকারকে হারিয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন।
২০২২ সালের পুর নির্বাচনে ৩৩ নং ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃণমূলের প্রবীন প্রার্থী জহরলাল পালকে হারিয়ে কাউন্সিলর ও নির্বাচিত হন।
বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পরেই সাংসদ তথা দলের তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
দ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে একজন শহরে ঢুকলে অন্যজন তার আগেই শহর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া শুরু করেন।
তৃণমূলের যুব সংগঠনের পদাধিকারী হিসেবে হিরণের পরিচিতি ছিল। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবে। বিধানসভা নির্বাচনে একেবারে শেষ মুহূর্তে হিরণের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হয়।
মুকুল পুরনো দলে ফেরত যাওয়ার পর থেকেই হিরণের ‘ঘর ওয়াপসী’ কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছিল।
সেই সম্ভাবনাই গত কয়েকদিন আরও জোরালো হয়েছে বলে তৃণমূল দলীয় সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে হিরণের প্রতিক্রিয়া, ‘নো ওয়ে’।
এই উত্তর নিয়ে রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এই প্রতিক্রিয়ার একটা অর্থ, কোনওভাবেই তৃণমূলে যোগদানের কোনও প্রশ্ন নেই।
আবার অনেকে বলেছেন, এই প্রতিক্রিয়ার অর্থ হতে পারে বিজেপিতে গুরুত্ব না পেয়ে খানিকটা বাধ্য হয়েই তাকে তৃণমূলে যোগ দিতে হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই শহর জুড়ে হিরণের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপি বিধায়ক সংখ্যা ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে কোথায় গিয়ে সেটাই দেখার।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত ছয় মাস ধরে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন হিরণ। হিরণ অবশ্য যাবতীয় কথা অস্বীকার করেছেন।