• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

শান্তিপুরে ওড়িশার পটচিত্র প্রদর্শনী

রথীন পালচৌধুরী: ওড়িশার পটচিত্র ভারতের একটি ঐতিহ্যবাহী চিত্রকর্ম৷ প্রায় পঁচিশটি ছবির চিত্রকর্ম নিয়ে গত ২৭-২৮ এপ্রিল শান্তিপুর কলাতীর্থে একক প্রদর্শনী করলেন শান্তিপুরের মেয়ে বৈবাহিক সূত্রে বর্তমানে ওড়িশার ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা শুভশ্রী সেনগুপ্ত৷ প্রদর্শনীর চিত্রগুলি মূলত হিন্দু পুরানের উপর ভিত্তি করেই অাঁকা৷ পতিতপাবন জগন্নাথদেব, পঞ্চমুখী গণেশ, পটচিত্রে সরস্বতী, রাধাকৃষ্ণ যুগল মূর্তি, রাধাকৃষ্ণের রাসলীলা প্রভৃতি৷ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট

রথীন পালচৌধুরী: ওড়িশার পটচিত্র ভারতের একটি ঐতিহ্যবাহী চিত্রকর্ম৷ প্রায় পঁচিশটি ছবির চিত্রকর্ম নিয়ে গত ২৭-২৮ এপ্রিল শান্তিপুর কলাতীর্থে একক প্রদর্শনী করলেন শান্তিপুরের মেয়ে বৈবাহিক সূত্রে বর্তমানে ওড়িশার ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা শুভশ্রী সেনগুপ্ত৷ প্রদর্শনীর চিত্রগুলি মূলত হিন্দু পুরানের উপর ভিত্তি করেই অাঁকা৷ পতিতপাবন জগন্নাথদেব, পঞ্চমুখী গণেশ, পটচিত্রে সরস্বতী, রাধাকৃষ্ণ যুগল মূর্তি, রাধাকৃষ্ণের রাসলীলা প্রভৃতি৷ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিল্পী হিরণ মিত্র৷ তিনি শুভশ্রীর কাজে অপরিসীম ধৈর্য ও ভাবনাচিন্তার প্রশংসা করেন৷ উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় চিত্রশিল্পের আত্মাকে বুঝতে গেলে এই পটচিত্র বিষয়টাকে জানতে হবে৷’ শুভশ্রীর কথায়, ‘ওড়িশার পটচিত্রের যে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কাজ আছে সেগুলো প্রদর্শনীতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি৷ আশা করি শান্তিপুরের অাঁকিয়েদের ওড়িশার পটচিত্রের প্রতি আগ্রহ বাড়বে৷’

পট শব্দটি এসেছে সংস্কৃত পট কথা থেকে যার অর্থ বস্ত্র৷ চলতি কথায় পট হল কাপড় বা কাগজের উপর বিশিষ্ট ঢঙে অাঁকা চিত্র বা চিত্রাবলী৷ সাধারণত পটচিত্র কোনও কাপড়ের উপর বা শুকনো তালপাতার উপর অঙ্কন করা হয়৷ শিল্পীদের বক্তব্য অনুযায়ী, অঙ্কনের ক্ষেত্রে প্রথমে চক এবং আঠার মিশ্রণে এক ধরনের রং তৈরি করে অাঁকা হয়৷ এক্ষেত্রে পৌরাণিক দেবদেবীর মূর্তি, গাছপালা, ফুল, পশুপাখি অঙ্কন রীতির প্রধান বিষয়বস্ত্ত হয়ে থাকে৷ অনেক সময় ওড়িশার বিখ্যাত সম্বলপুরী শাড়িতেও পটচিত্র শিল্প অাঁকা থাকে৷ ঘর গৃহস্থালি করেও শুভশ্রী সেনগুপ্ত তাঁর ছোট বয়স থেকে শেখা অঙ্কন শিল্পকে আজ একটি উচ্চগ্রামে নিয়ে যাওয়ায় প্রদর্শনীতে উপস্থিত বিভিন্ন সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ তাঁকে অভিনন্দন জানান৷ তাঁর এই প্রদর্শনীকে সফল করে তুলতে যোগ্য সঙ্গত করলেন তাঁরই ছোট বোন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ড. শ্যামশ্রী সেনগুপ্ত, তাঁর অন্যান্য দিদিরা, মা, আত্মীয়স্বজন এবং সংস্কৃতিমনস্ক মানুষজন৷