প্রার্থী তালিকা বিতর্ক নিয়ে মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। তিনি বলেন, “বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে পার্থ আর সুব্রতর দেওয়া তালিকা চূড়ান্ত তালিকা।” একইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘সকলকে খুশি করা সম্ভব নয়।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি কার্যত প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৈরি হওয়া যাবতীয় বিতর্কের ইতি টানলেন। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। অন্যদিকে, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে বেড়ে চলা অসন্তোষের মাঝেই এবার কড়া বার্তা দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ চ্যাটার্জী বলেন, “প্রার্থী তালিকা নিয়ে এবার আর কোনও ক্ষোভ থাকা উচিত নয়। এতবড় একটা দলে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়। একইসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব জানিয়েছেন আরও কিছু সংশোধন করে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা সমস্ত জেলার সভাপতিদের কাছে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়ে গিয়েছে। আর কোনও বিভ্রান্তি নেই সেই চূড়ান্ত তালিকায়।”
উল্লেখ্য, আসন্ন ১০৮ পুরসভা ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের একাধিক নেতাকে। প্রতিটি জেলার সভাপতিদের সঙ্গে কো-অর্ডিনেট করে তাঁরা প্রত্যেকে পুরভোটের দায়িত্ব পালন করবেন। কোন জেলায় কাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাও জানিয়ে দেন তৃণমূল মহাসচিব।
হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলক রায়কে, উত্তর ২৪ পরগনা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও পার্থ ভৌমিক, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-শুভাশিস চক্রবর্তী, অরূপ বিশ্বাস। মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর ফিরহাদ হাকিম।
কোচবিহার ও পূর্ব মেদিনীপুর-সুব্রত বক্সী। ঝাড়গ্রাম-পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া মলয় ঘটক। আলিপুরদুয়ার-চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মলয় ঘটক। পশ্চিম মেদিনীপুর-অজিত মাইতি ও মানস ভুঁইয়া। দার্জিলিং-গৌতম দেব, নদিয়া-পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায় ও ব্রাত্য বসু। জলপাইগুড়ি-সৌরভ চক্রবর্তী। দক্ষিণ দিনাজপুর-শশী পাঁজা।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মমতার উন্নয়নে সবাই সামিল হতে চাইছেন। কিন্তু প্রার্থী তো একজনই হন। সবাইকে প্রার্থী করা যায় না দলের নেত্রী এক, প্রতীক এক, সবাই দলের পাশে দাঁড়ান। গতবারের থেকেও বেশি আসনে তৃণমূলকে জয়ী করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ১০৮টি পুরসভায় তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা নিয়ে বিভ্রাট! অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকার সঙ্গে জেলায় জেলায় পৌঁছনো তালিকার মিল নেই। গত শুক্রবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়।