পার্থ এখন প্রভাবশালী নেতা নন, আদালতে  জামিন চেয়ে যুক্তি পার্থের আইনজীবীর

শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও সাত জনের জামিন মামলা স্থগিত রাখল আদালত। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও সাতজনের জামিন মামলার শুনানিতে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে আলোচনা উঠে আসে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী শুক্রবার আদালতে জামিন সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি যুক্তি দিয়ে মন্তব্য করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন আর প্রভাবশালী নেতা নন। তাহলে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হবে না কেন? শুক্রবার পার্থর জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে তাকে। এই মামলার শুনানি হবে আগামী ৩ অক্টোবর। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়েছে। সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই প্রসঙ্গ তুলে শুনানির সময় বিচারপতি অপূর্ব সিনহা মন্তব্য করেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট থেকে বীরভূমের একজন জামিন পেয়েছেন এবং তিনি আবার দলে যোগ দিয়েছেন। জামিন পেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও ফিরে আসতে পারেন।’

অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের জামিন প্রসঙ্গকে উল্লেখ করে পার্থর আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তুলনা করা সঠিক নয়। অনুব্রত কোনও বিধায়ক নন, বরং তিনি বীরভূমের দায়িত্বে থাকা একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি।’ তাঁর মক্কেল এখন দল থেকে বিচ্ছিন্ন এবং তাঁর কোনও রাজনৈতিক প্রভাব নেই, তাই জামিন না দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই, এমনটাই জানান তিনি।

শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় পার্থ ছাড়াও সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিংহ ও অপূর্ব সাহাদের মামলার শুনানি হয়। সিবিআই শুরু থেকেই দাবি করে আসছে যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রভাবশালী, এবং জামিন পেলে তিনি তদন্তে বাধা সৃষ্টি করতে পারেন। এমনকি, তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করে প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করতে পারেন। তবে পার্থর আইনজীবী যুক্তি দেন যে তিনি আর মন্ত্রী নন এবং রাজনৈতিকভাবে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে তার যোগসূত্র নেই।


আদালত এই যুক্তি এখনই মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। সিবিআইকে আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে তাঁদের বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দিতে বলা হয়েছে এবং মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৩ অক্টোবর।