শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
এরপর এই ইস্যুতে কে কে গ্রেফতার হতে পারেন, তা নিয়েও জল্পনা কোনও অংশে কম নয়। ঠিক এমনই পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যকে নিশানা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে। তার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং অস্বস্তির বাতাবরণ তৈরি করতে এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য মন্ত্রিসভার দুই সদস্যকে নিশানা করলেন।
পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং সেচমন্ত্রী ড. সৌমেন মহাপাত্রের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ আনলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতার আসলে ট্রেলার। এখনও অনেক কিছু বাকি।
এদিন বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক বৈঠক করে এই দাবি করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘পার্থ-অপা ট্রেলার আসল দেখতে পাবেন। আমরা কোমর বেঁধেই নেমেছি।’
দুর্নীতি নিয়ে এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণকে সামনে রেখে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধিতাকে উচ্চগ্রামে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। বিধানসভার এই বিরোধী দলনেতার নিশানায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে শুভেন্দু এদিন অভিযোগ করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম প্রভাবশালী নেতাকে সবচেয়ে বেশি টাকা পাঠান পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক।
সেই সঙ্গে শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, সেচমন্ত্রীর পিএ ‘নাড়ু’ একুশে জুলাইয়ের আগের দিন মিস্টার রায়ের কাছে ২ কোটি টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন।
তৃণমূলের সততা আমার থেকে কেউ ভালো জানে না। শুভেন্দুর আনা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেচমন্ত্রী ড সৌমেন মহাপাত্র।
এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই নিয়ে আমার মন্তব্য করা নিষ্প্রয়োজন। নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বজায় রাখতে এই সব করছে।
কথায় তো কোনও ট্যাক্স দিতে হয় না যদি এই অভিযোগের সত্যতা কেউ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।