এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু’টি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে মোট প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এঘটনায় পার্থ ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, আমার মনে হয় না, এত টাকা এই দু’জনের হতে পারে। এখানে অনেকের টাকা রয়েছে।
স্যার ও ম্যাডামকে আমি অনুরোধ করব, নিজেদের এত কষ্ট দেবেন না। সত্যি কথা সকলকে বলে দিন।
অপরের জন্য নিজেরা এত কষ্ট সহ্য করবেন না। ওনারা লুটের টাকা রক্ষা করতেন। তাই বলব, সত্যি কথা জানিয়ে দিন সকলকে।
অর্থাৎ এদিন ইঙ্গিতে মিঠুন চক্রবর্তী দাবি করলেন, শুধু মাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নয়, ঘটনার নেপথ্যে জড়িয়ে আরও অনেকে। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ইডি তো নিজেদের মতো করে তদন্ত করছে।
উনি কি তদন্তকারীদের প্রভাবিত করতে চাইছেন? এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এটা নতুন কিছু নয়।
মিঠুন চক্রবর্তীর বক্তব্য একেবারেই অসঙ্গত নয়। ওই দলের তো একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। পার্থ-অর্পিতা সবাই দাবার ঘুঁটি।
নাহলে রাজ্যে এতকিছু হয়ে যায়, পুলিশ কেন কিছু টের পায় না? পুলিশ মন্ত্রীই বা চুপ কেন? রাজনীতিতে ফের সক্রিয় হয়েই একের পর এক বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী।
বুধবারই জনসমক্ষে তিনি দাবি করেছিলেন, ৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক নাকি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
তবে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যুতে তেমন কিছু বৃহস্পতিবার না বললেও, চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তিনি। মূলত পার্থ ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট যেন এখন ‘মিনি ব্যাঙ্ক’!
সব মিলিয়ে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৬ কেজি সোনা। চলছে আরো জায়গায় তল্লাশি। এই ঘটনায় যেখানে চক্ষু চড়কগাছ সকলের।
তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হচ্ছে, এই টাকা শুধুমাত্র পার্থ এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নয়, এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন আরও অনেকে। আমি ম্যাডাম এবং স্যারকে অনুরোধ করব, নিজেদের এত কষ্ট দেবেন না।
সত্যি কথা সকলকে বলে দিন। অপরের জন্য নিজেরা এত কষ্ট সহ্য করবেন না। ওনারা লুটের টাকা রক্ষা করতেন। তাই বলব, সত্যি কথা জানিয়েদিন সকলকে।
এখানেই শেষ নয়, মিঠুন চক্রবর্তী আরও বলেন, হিন্দিতে একটা কথা আছে জানেন তো, আমি যখন ডুবেছি, আমি তোমাদের সকলকে নিয়ে ডুববো। যে পরিস্থিতিতে পার্থবাবু এবং অর্পিতা ম্যাডাম পড়েছেন ওঁনাদের বলব এবার এই নীতি মেনে চলতে।
অর্থাৎ এদিন ইঙ্গিতে মিঠুন চক্রবর্তী দাবি করলেন, শুধুমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নয়, ঘটনার নেপথ্যে জড়িয়ে রয়েছেন আরও অনেকে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে যায় সেইদিকে চোখ সবার।