স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে হাসপাতালে ঢোকার আগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনও টাকা নেই। বেরোনোর সময় আবার একই কথা বললেন পার্থ।
তবে এ বার একটু অধৈর্য তাঁর সুর। সাংবাদিকরা তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ‘উদ্ধার হওয়া টাকা কার’? জবাবে পার্থ টানা তিন বার একই উত্তর দিলেন।
বললেন, ‘আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়।” বেরোনোর মুখে ফের একই প্রশ্ন নিয়ে পার্থবাবুকে ঘিরে ঘরেন সাংবাদিকরা। হুইলচেয়ার থেকে নেমে গাড়িতে ওঠার সময় বিরক্তি ঝরে পড়ে তাঁর গলায়।
পার্থ দু’হাত তুলে বলেন, ‘আমার নয় , আমার নয়, আমার নয়।’ তারপর আর তাঁকে মুখ খুলতে দেখা যায়নি।
এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
তিনি বলেছেন, এবার হয়তো অর্পিতাকেও উনি চিনতে পারবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় রোজ যা যা বলবেন তা নিয়ে দলের তরফে প্রতিক্রিয়া দেওয়া সম্ভব নয়। অপার নামের শান্তিনিকেতনের বাড়িটি তো শুনেছি জয়েন্ট দলিল রয়েছে।
আর কী বলার আছে। আগে কেন এসব কথা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেননি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কুণাল ঘোষ।
এই জোকা ইএসআই হাসপাতালে ঢোকার মুখেই এর আগে একদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমি শিকার।’ ষড়যন্ত্রের এদিন পার্থবাবুকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, কে ষড়যন্ত্র করেছে?
পার্থবাবুর জবাব, ‘সময় এলেই জানতে পারবেন। আগের দিন হাসপাতাল থেকে পার্থকে যখন বের করা হচ্ছে তখন এক প্রশ্নে তিন বার তিন রকম জবাব দিয়েছিলেন প্রবীণ এই নেতা।
মন্ত্রিসভা ও দল থেকে তাঁকে হেঁটে ফেলা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, দলের সিদ্ধান্ত কি ঠিক? এক প্রশ্নে তিনবার তিন রকম জবাব দিয়েছিলেন পার্থ।
তিনি একবার বলেন, ‘সময় বলবে।’ তার পরক্ষণেই বলেন, ‘নিরপেক্ষ তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে।’
আবার হুইলচেয়ার থেকে গাড়িতে ওঠার পর বলেছিলেন, ‘মমতা ব্যানার্জির সিদ্ধান্ত ঠিক।’ অনেকের মতে পার্থর শেষ জবাবটি ছিল কৌশলী।