• facebook
  • twitter
Friday, 18 October, 2024

পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশন জলের তলায়, দিনভর দুর্ভোগে যাত্রীরা

কলকাতা, ২৭ মে:  রেমালের তান্ডব রেহাই দিল না কলকাতা মেট্রোকেও। আজ সোমবার, সাত সকালে এসপ্ল্যানেড ও পার্ক স্ট্রিট মেট্রোর মাঝের ট্র্যাকে জল জমে ঘটল বিপর্যয়। জল জমে যায় পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনেও। ফলে সকাল থেকে মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়। টালিগঞ্জ থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ মেট্রো পরিষেবা বাতিল রাখা হয়। সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে

কলকাতা, ২৭ মে:  রেমালের তান্ডব রেহাই দিল না কলকাতা মেট্রোকেও। আজ সোমবার, সাত সকালে এসপ্ল্যানেড ও পার্ক স্ট্রিট মেট্রোর মাঝের ট্র্যাকে জল জমে ঘটল বিপর্যয়। জল জমে যায় পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনেও। ফলে সকাল থেকে মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়। টালিগঞ্জ থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ মেট্রো পরিষেবা বাতিল রাখা হয়। সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়। ফলে দুর্ভোগে পড়েন অফিসযাত্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য নিত্যযাত্রীরা। আজ দুপুর পর্যন্ত এই অচলাবস্থা চলে। যদিও এই সময়ে গিরিশ পার্ক থেকে দক্ষিনেশ্বর এবং টালিগঞ্জ থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল।

এই ঘটনার পর মেট্রো কর্তৃপক্ষ দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টায় নেমে পড়েন। মেট্রো কর্মীরা দ্রুত কাজে পড়েন। ট্র্যাক থেকে জল বের করার কাজে নেমে পড়েন মেট্রো কর্মীরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর দুপুর একটা নাগাদ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যায়। এখন মেট্রো স্বাভাবিকভাবেই চলছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত এমনিতেই পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন রাস্তাঘাট একটু ভারী বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। শহরের অন্যান্য প্রান্তের মতো এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রাস্তাঘাটে জল জমে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় বাস ট্যাক্সি প্রায় নেই বললেই চলে। গুটি কতক বাস চললেও ভিড়ের চাপে তিল ধরণের উপায় নেই। ক্যাব পরিষেবাতে আজ ভাড়াও আকাশ ছোঁয়া। ট্যাক্সির দেখা নেই। ফলে একমাত্র ভরসা মেট্রো। সেই মেট্রো স্টেশন জলের তলায় চলে যেতেই রীতিমতো বিপদে পড়েন নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ যাত্রীরা।

এদিকে রেমালের জেরে গতকাল দুপুর ১২টা থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা ২১ ঘন্টার জন্য বন্ধ ছিল। আজ, সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। তবে সকালে বিমানবন্দরে পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও বেলায় দুর্যোগ বাড়তেই ফের ব্যাহত হয় উড়ান পরিষেবা। প্রবল বৃষ্টির কারণে এদিন পাঁচটি বিমান দমদমের নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারেনি। সেই বিমানগুলিতে অন্য বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।