• facebook
  • twitter
Wednesday, 19 March, 2025

জাল নথিতে নিয়োগ, তলব আধাসেনা জওয়ানদের

জাল ডোমিসাইল সার্টিফিকেট বানিয়ে তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সিবিআই প্রায় ১৫০ জনকে চিহ্নিত করেছে।

প্রতীকী চিত্র

জাল ডোমিসাইল সার্টিফিকেট বানিয়ে তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সিবিআই প্রায় ১৫০ জনকে চিহ্নিত করেছে। তাঁদের মধ্যে ৩০ জনকে গত কয়েক সপ্তাহে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল । এবার সোমবারও আরও চারজনকে তলব করেছে সিবিআই। এঁরা নিজেদের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বললেও দেখা গিয়েছে অনেকের বাড়িই বিহার, উত্তরপ্রদেশ কিংবা অন্য কোনো রাজ্যে। সিবিআই-র দাবি, এই নিয়োগ দুর্নীতির পিছনে রয়েছে একটি চক্র। বড় কারও হাত না থাকলে এমনটা সম্ভব না।

অভিযোগ উঠেছিল, নকল নথি দিয়ে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট বানিয়ে তা ব্যবহার করে অনেককেই আধাসেনায় নিয়োগ করা হয়েছে। দুর্নীতির আঁচ পেতেই কোমর বেঁধে নেমেছিল সিবিআই। গত ৩১শে জানুয়ারি সেনা জওয়ান মহেশ কুমার চৌধুরীকে মূল পান্ডা হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অভিযুক্ত মহেশ কুমার চৌধুরী উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ায় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার স্টোর্স ডিপোতে যুক্ত ছিলেন। এরপরই দফায় দফায় তলব করা হয়েছে জওয়ানদের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রায় ১৪২ জন এই দুর্নীতি চক্রের সঙ্গে জড়িত। বেশিরভাগই কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনীর কনস্টেবল।

তাঁদের মধ্যে ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ বয়ান রেকর্ড করেছেন। চাকরিতে নিয়োগের প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে এজেন্টদের কত টাকা খাইয়ে কিভাবে অনৈতিক ভাবে চাকরি পেয়েছেন সকল খুঁটিনাটি জিজ্ঞেস করা হয়েছে। জন্ম ও পঠন-পাঠন বিহার ও উত্তরপ্রদেশে হলেও তাঁদের ডোমিসাইল সার্টিফিকেট পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার। স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য ছাড়া এই কাজ কিভাবে সম্ভব? আর কতজন জড়িত রয়েছেন এই দুর্নীতিতে সব বিষয় খুঁটিয়ে দেখছে সিবিআই।

সূত্রের খবর, সিবিআই ওই জওয়ানদের জেরা করে বিভিন্ন প্রমাণ জোগাড় করেছে। তাঁদের অধিকাংশের সঙ্গেই অভিযুক্ত মহেশ কুমার চৌধুরীর যোগ ছিল। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও অন্যান্য আরও অনেক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।