ফের রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। এবার ইস্যু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সাত পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করার মামলা। এই মামলায় কলেজের পক্ষে কোনও আইনজীবী না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পাশাপাশি তাঁদের অনুরোধ, সোমবারের শুনানিতে এজলাসে যেন কলেজের পক্ষের আইনজীবী থাকেন। এই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের কয়েকজন ছাত্র–ছাত্রী কলেজেরই ৭ জনের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলে সরব হন। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তাঁদের কলেজ ও হস্টেলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্তরা। গত শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত কলেজ কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন। কলেজে প্রবেশ করে ক্লাস করার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও হস্টেলে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে হাইকোর্ট।
এই মামলায় শুক্রবারের শুনানিতে কলেজের পক্ষে কোনও আইনজীবী না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি লিখেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের বক্তব্য, আইনজীবী না থাকায় কলেজের বক্তব্য আদালত জানতে পারছে না। সোমবার অর্থাৎ আজ মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে। এই শুনানিতে কলেজের তরফে আইনজীবী রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
ইমেলে আরও জানানো হয়েছে, অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ শুনানির প্রথম দিন কলেজের পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না। পরের শুনানি ৭ অক্টোবর এবং ৫ নভেম্বরের শুনানিতে রাজ্যের তরফে আইনজীবী ছিলেন। তবে, ৮ নভেম্বর রাজ্যের আইনজীবী আদালতে জানান, কলেজের পক্ষে সওয়াল করার এক্তিয়ার নেই তাঁর। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১১ নভেম্বর। এই শুনানিতে সব পক্ষকে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছে আদালত। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, কোনও আইনজীবী না থাকলে নিজেদের বক্তব্য জানাতে পারবে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রাজ্য ও কলেজের তরফে আদালতে কোনও হলফনামাও জমা দেওয়া হয়নি। এই কারণে সোমবার যাতে এজলাসে কলেজের পক্ষে আইনজীবী দেওয়া হয় তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।