মণ্ডপের কাজে ‘বাধা’ বৃষ্টি, থমকে পুজোর কাজ

পুজোর আর বেশি দেরি নেই। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। এই আবহে ভারী বর্ষণে আটকে রয়েছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। শনিবার কয়েক দফায় ভারী বর্ষণের জেরে শহর বর্ধমান লাগোয়া এলাকায় দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরির কাজে সমস্যা দেখা দেয়।

সকাল থেকেই মুখভার আকাশের। কিন্তু বেলা বারোটা বাজতেই শুরু হয়ে যায় মুষলধারে বৃষ্টি। একটানা বৃষ্টিতে কোনও মণ্ডপেই সেভাবে কাজ করা যায়নি। বিশেষ করে থিমের মণ্ডপগুলি সাজাতে যেখানে বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহৃত হচ্ছে, জলে-কাদায় সেখানে কোনওভাবেই কাজ করা যাচ্ছে না।

অন্যদিকে শুক্রবার পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৩০টি পুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। উদ্যোক্তারা বলেন, যে ভাবে প্রচার হয়েছে তাতে পঞ্চমী থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে পারে। তাই তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। একইসঙ্গে অনবরত বৃষ্টির ফলে মৃৎশিল্পীরাও ফাঁপড়ে পড়েছেন। চতুর্থী অর্থাৎ সোমবারের মধ্যে প্রতিমা গড়ার কাজ শেষ করতে হবে। সব নিয়ে বাড়ছে সংকট।


ইতিমধ্যেই জামালপুরের হালারা বিপত্তারিণী ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেই উপলক্ষ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি, বিডিও পার্থসারথী দে, জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক নিতু সিং, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খান সহ ক্লাবের সভাপতি, সম্পাদক সহ অন্যান্যরা।

জামালপুরের পাশাপাশি পূর্ব কালনার কাঁসাড়িপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব ও কালনা পুরাতন বাস স্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির পুজোরও ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। কালনার কাঁসাড়িপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসবের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সহ প্রশাসনিক আধিকারিক ও এলাকার বিশিষ্টজনেরা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন করা পুজোগুলিতে চতুর্থী থেকেই ভিড় বাড়বে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। তাই বৃষ্টির জেরে পুজোর আয়োজনে খামতি থেকে যাওয়ায় চিন্তায় সকলেই।