আবার বহিরাগত-বিভ্রাট যাদবপুরে, লাগু হল ২০১৮-এর নির্দেশনামা

ফাইল চিত্র।

ফের বহিরাগত সমস্যা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে! গত সোমবার রাত্রিবেলা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে পড়েন কিছু বহিরাগত। বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর আত্মীয় তাদের সঙ্গে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, বহিরাগতদের সঙ্গে বচসা হয় নিরাপত্তাকর্মীদের। নিরাপত্তাকর্মীরা বহিরাগতদের কাছে মার খেয়ে রীতিমতো আহত হন বলেও জানা গিয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বহিরাগতদের প্রবেশ আটকাতে ২০১৮ সালের নির্দেশিকা ফের জারি করেছেন। এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বহিরাগতদের প্রবেশ, মদ্যপান এবং মাদকসেবন আটকাতে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে তিনি জানিয়েছেন, সন্ধে ৮টা থেকে ভোর ৭টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করা যাবে না। পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। বহিরাগতদের ক্ষেত্রে অন্য কোনও বৈধ পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশ করতে হবে। রেজিস্টারে নাম, কী জন্য আসা হয়েছে, কার সঙ্গে দেখা করা হবে ইত্যাদি তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে। কোনও গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার ছাড়া ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। একান্তই প্রবেশ করতে হলে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার জানাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যদি মাদক সেবন বা অন্যান্য বেআইনি কাজকর্ম করতে দেখা যায় কাউকে, সেক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জুটা (যাদবপুর ইউনিভার্সিটি টিচার্স’ অ্যাসোসিয়েশন)-এর সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানান, তাঁরা এই বিষয়ে আগেও অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা আগেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম, সন্ধ্যার পরে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছে যে, শিক্ষক-শিক্ষিকারা পঠনপাঠন, গবেষণার কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন। পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হলে পড়াশোনার কাজ চালানো মুশকিল হয়ে যাবে। এ ভাবে চলতে পারে না।’ এই প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার জানান, উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে শীঘ্রই এই ব্যাপারে মিটিং ডাকা হবে।