রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে পুজোর মুখে ফের প্রধানমন্ত্রীকে পত্রাঘাত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের আট জেলায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্র ও ডিভিসি’কে একসঙ্গে দুষেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৪ আগস্ট জলাধারগুলির সংস্কারের দাবিতে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা। যদিও তার উত্তর মেলেনি।
বুধবার মহালয়ার দিন ফের তিনি রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। এবার তিনি ডিভিসির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন মমতা। এদিনের চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ডিভিসি নিয়ে স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করুক কেন্দ্র। যাতে রাজ্য বছর বছর বন্যার হাত থেকে মুক্তি পায়।
রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদাসীনতাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে মমতা পরিসংখ্যান দিয়ে লিখেছেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ডিভিসি তাদের মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে অপরিকল্পিতভাবে জল ছাড়ে। যার জেরে উৎসব মরসুমে বানভাসি হয়েছে রাজ্যের আটটি জেলায়।
কখন, কীভাবে, কত পরিমাণ জল ছেড়েছে ডিভিসি তা পরিষ্কারভাবে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মমতা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত জলাধার থেকে ছাড়া জলে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে গিয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন বহু লক্ষ মানুষ। অন্তত এক লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর চেষ্টা হয়েছে।
তারপরেও কত সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনও তৈরি হয়নি। শনিবার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ বছরে চারবার লাগামছাড়া জল ছাড়ছে ডিভিসি। তার জেরেই মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।
শনিবার বন্যা পরিস্থিতি সরজমিনে দেখতে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, এই পরিস্থিতির জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। ডিভিসি তো কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। বারবার ডিভিসির ছাড়া জলে বন্যা হবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতেও ক্ষতিপুরণের দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷