নারী নির্যাতন ইস্যুতে বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে উত্তাল বিধানসভা। বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ। এর পরই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার গেটের বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন তাঁরা। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বিধানসভা চত্বর।
২৫ নভেম্বর থেকে বিধায়সভায় শুরু হয়েছে শীতকালীন অধিবেশন। বুধবার ছিল তৃতীয় দিন। জানা গিয়েছে, এদিন আর জি কর কাণ্ড ও পরবর্তীতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মহিলাদের উপর ঘটা অত্যাচারের প্রতিবাদে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। কিন্তু তাঁদের এ বিষয়ে আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পরই ওয়াক আউট করে বিজেপি। অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে বিভোক্ষ দেখাতে শুরু করেন বিধায়করা। প্রত্যেকের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। এদিন স্পিকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। তিনি বলেন,’মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই। বিরোধী স্বর শুনলেই অত্যাচার নামিয়ে আনা হয়। একই অবস্থা বিধানসভাতেও। নারী ও মহিলা সুরক্ষা নিয়ে আমাদের মহিলা বিধায়িকারা আলোচনা চেয়েছিলেন। অথচ দলের বিধায়িকা তাপসী মণ্ডল বলতে উঠতেই তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হল। স্পিকারের এই আচরণের নিন্দা জানাতেই আমরা সভা ওয়াকআউট করলাম।’
যদিও শাসকদলের তরফে অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি করা হয়েছে যে, বিজেপির মূল উদ্দেশ্য বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। ওরা আলোচনা চাইলে এভাবে সভা ওয়াকআউট করত না।
আর জি কর কাণ্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্তাল বাংলা। গতকালই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করতে বিধানসভা এসেছিলেন অভয়ার বাবা-মা। মেয়ের সুবিচারের জন্য বিরোধী দলনেতার সহযোগিতা চেয়েছিলেন তাঁরা। ঠিক তার পরের দিনই নারী নির্যাতন ইস্যুতে কেন্দ্র করে উত্তাল হল বিধানসভা।
এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সেই অধিবেশন থেকে স্বাস্থ্যদপ্তরের সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেবেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। সদ্যসমাপ্ত ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন হেমন্ত সোরেন। বৃহস্পতিবার তাঁর শপথ। তাতে আমন্ত্রিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিন তিনি যাবেন রাঁচি, হেমন্তের শপথে অংশ নিতে। সূত্রের খবর, ওইদিন প্রথমার্ধ্বে বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে তার পর রাঁচি যাওয়ার বিমান ধরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর জবাবের দিকে নজর বিরোধীদেরও।