• facebook
  • twitter
Thursday, 20 February, 2025

গুলেন বারি সিনড্রোমে রাজ্যে মৃত আরও ১

আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০১ জন

প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব প্রতিনিধি— গুলেন বারি সিনড্রোমে রাজ্যে আরও একজনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এল। মৃতের নাম দেবকুমার সাউ (১০)। বুধবার কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে। মঙ্গলবারই গুলেন বারি সিনড্রোমে রাজ্যে প্রথম মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। বুধবার ফের আর এক মৃত্যুর খবর সামনে এল।

গত এক সপ্তাহ ধরেই অসুস্থ ছিল দেবকুমার। তার শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ ছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলেন বারি সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে আরও দুই শিশু সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অসুস্থ দুই শিশুর মধ্যে একজন উত্তর ২৪ পরগনারই বাসিন্দা। তার বয়সও দশ বছরের আশপাশে বলে জানা গিয়েছে।

মঙ্গলবার গুলেন বারি সিনড্রোমে রাজ্যে প্রথম মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। মৃতের নাম অরিত্র মণ্ডল। সে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা থানা এলাকার বাসিন্দা। সে বারাসতের প্যারীচরণ সরকার রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, গত ২২ তারিখ অরিত্রর গলায় ব্যথা শুরু হয়। সেই সময় বিষয়টিকে অতটা গুরুত্ব দেননি পরিবারের সদস্যরা। সামান্য ঠান্ডা লেগেছে বলেই মনে করেন তাঁরা। রাতে অরিত্রর জ্বর এলে ওষুধ খেয়ে নেয় সে। পরের দিন ঘুম থেকে ওঠার পর দেখা যায়, তার দু’হাতে কোনও জোর নেই। তৎক্ষণাৎ তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় অরিত্র পড়ে যায়। এরপরই তাকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের ছেলের। এই ঘটনায় উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

করোনার পর এইচএমপিভি দেশজুড়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছিল। এবার তালিকায় নতুন নাম গুলেন বারি সিনড্রোম। এটি এক ধরনের স্নায়ুরোগ। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশের মধ্যে পুণেতে সর্বপ্রথম মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০১ জন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৬০ জনকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এবার রাজ্যেও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পর পর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও বিজ্ঞপ্তি জারি করে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।