কসবা কাণ্ডে ধৃত আরও এক। ধৃতের নাম মহম্মদ আলী। সে গুলসন কলোনির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তবে ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি সুশান্ত ঘোষকে খুনের পিছনে তার ভূমিকা কী, তা জানতে ধৃতকে জেরা করছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা।
গত ১৫ নভেম্বর নিজের বাড়ির সামনে বসে গল্প করছিলেন সুশান্ত ঘোষ। সেই সময় প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করার চেষ্টা করে এক কিশোর দুষ্কৃতী যুবরাজ সিং। তবে কোনও কারণে গুলি না বেরোলে প্রাণে বাঁচেন পুরপ্রতিনিধি। ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের হাতেই ধরা পড়ে যুবরাজ। পরে তদন্তে নেমে সুশান্তকে খুনের চক্রান্তের মাস্টারমাইন্ড গুলজারকে বর্ধমানের গলসি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে খুনের চেষ্টার পিছনে বিহার যোগ। সেই সূত্র ধরে বিহার গিয়ে মদম্মদ ফুলবাবু বলে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। গ্রেপ্তার করা হয় গুলজারের সঙ্গে যুক্ত এক ট্যাক্সিচালক আহমেদ খানকে। আর এবার খুনের চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হল মহম্মদ আলীকে। যদিও খুনের চক্রান্তের পিছনে তার ভূমিকা কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, গুলজারকে জেরা করে পাপ্পু চৌধুরী গ্যাংয়ের যোগসূত্র পেয়েছিলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, বিহারের বেউড় জেলের এক দাগী আসামী মহম্মদ ফুলবাবু সেতুবন্ধনের কাজ করেছিল গুলজার এবং পাপ্পু চৌধুরীর মধ্যে। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে বিহার থেকেই নিয়ে আসা হয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র।