• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

কসবা কাণ্ডে ধৃত আরও এক! ভূমিকা নিয়ে ধন্দে পুলিশ

ঘটনার তদন্তে নেমে এবার বিহারের সমস্তিপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হল মহম্মদ ফুলবাবু নামে আরও একজনকে।

কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। ছবি: সমাজমাধ্যম।

কসবা কাণ্ডে আগেই মিলছিল আন্তঃরাজ্য যোগ। সেই মতো বিহারে আগেই পাড়ি দিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। এবার তাঁদের হাতেই কসবা কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও এক দুষ্কৃতী। ধৃতের নাম মহম্মদ ফুলবাবু (৪৫) বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও কাউন্সিলরকে খুনের চেষ্টায় তার ভূমিকা কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্ধ্যা বেলায় গুলি করে খুন করার চেষ্টা করা হয় কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে। সেই সময় ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় যুবরাজ সিং নামে এক কিশোরকে। তাকে জেরা করে পুরপ্রতিনিধি খুনের মূলপাণ্ডা গুলজার ওরফে আফরোজের খোঁজ পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এবার বিহারের সমস্তিপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হল মহম্মদ ফুলবাবু নামে আরও একজনকে। যদিও পুরপ্রতিনিধিকে খুনের চেষ্টার পিছনে ধৃতের ভূমিকা কী, তা নিয়ে এখনও সন্দিহান কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাকর্তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মূলচক্রী গুলজারকে জেরা করার সময়ই প্রকাশ্যে আসে বিহারের বাসিন্দা ধৃত এই ব্যক্তির নাম। পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের পাশাপাশি আনন্দপুরের গুলশান কলোনিতেও থাকতো ধৃত ফুলবাবু। অন্যদিকে জেরার মুখে একাধিকবার নিজের বয়ান বদল করে তদন্তকারী আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে ধৃত গুলজার, এমনটাই দাবি লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের এককর্তার। উল্লেখ্য, তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে পুরপ্রতিনিধিকে প্রাণে শেষ করে দেওয়ার জন্য বিহার থেকে অস্ত্র নিয়ে এসেছিল গুলজার। শুধু তাই নয়, সুশান্ত ঘোষের বাড়ি চিনতে যাতে স্কুটার চালকের কোনও রকম সমস্যা না হয় সে জন্য ঘটনার দিন দুপুরে স্কুটার চালককে নিয়ে এলাকা ঘুরেছিল সে। পাশাপাশি আগে থেকেই কষা ছিল পুলিশের হাত থেকে বাঁচার ছকও। সেই মতো গত শুক্রবার দুপুরেই নিজের বাড়ি থেকে স্ত্রী এবং সন্তানকে অন্যত্র সরিয়ে দেয় গুলজার। তবে যেখানে কাউন্সিলরকে খুন করতে সুপারি দেওয়া হয়েছিল শার্প শুটারদের, সেখানে ঠিক কী কারণে কিশোর যুবরাজকে দিয়ে খুনের পরিকল্পনা তা নিয়েও দ্বন্দে রয়েছেন পুলিশকর্তারা।