• facebook
  • twitter
Wednesday, 26 March, 2025

ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী হামলায় শহিদ বাংলার জওয়ান

মাওবাদী হামলায় শহিদ হলেন বাংলার এক জওয়ান। তাঁর নাম সুনীলকুমার মণ্ডল। তিনি সিআরপিএফ-এর ১৯৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সাব ইনস্পেক্টর ছিলেন।

ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী হামলায় শহিদ হলেন বাংলার এক জওয়ান। তাঁর নাম সুনীলকুমার মণ্ডল। তিনি সিআরপিএফ-এর ১৯৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের সাব ইনস্পেক্টর ছিলেন। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানার গাছউপড়া গ্রামে। রবিবার জওয়ানের দেহ গ্রামে নিয়ে আসা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানান, গান স্যালুট দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় সুনীলকুমার মণ্ডলকে।

শনিবার ঝাড়খণ্ডের ছোটানাগরা থানার বনগ্রাম মারাংপেঙা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল সিআরপিএফের একটি দল। বেলা আড়াইটে নাগাদ মারাংপেঙা জঙ্গলে আইএডি বিস্ফোরণ হয়। এর জেরে গুরুতর জখম হন কয়েকজন জওয়ান। হেলিকপ্টারে করে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রাঁচির হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় সুনীলকুমার মণ্ডলের।

মাওবাদী হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন হেড কনস্টেবল পার্থপ্রতিম দে। তিনি বাঁকুড়া পুরসভার রাজগ্রামের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী পিয়ালী দে বলেন, ‘ছুটি কাটিয়ে মাস দেড়েক আগেই কর্মক্ষেত্রে যোগ দেন। শনিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার খবর পাই। রবিবার সকালে কথা হয়েছে। অস্ত্রোপচার করা হবে। স্বামীর এক সহকর্মী জানিয়েছেন, পার্থপ্রতিমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।’ রবিবার আহত সিআরপিএফ কর্মীর বাড়িতে যান স্থানীয় কাউন্সিলর অপর্ণা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ওই জওয়ান এখন ভালো আছেন। তাঁর স্ত্রী-র সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন, এই প্রার্থনা করি।’

প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ ঝরাইকেলা থানা এলাকার রাধাপোদায় একই কায়দায় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। সেই হামলায় সিআরপিএফের ১৩৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের একজন সাব-ইন্সপেক্টর আহত হয়েছিলেন। তারপর থেকে ওই অঞ্চলে জোরকদমে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। গত এক মাসে, পুলিশ এবং সিআরপিএফ পশ্চিম সিংভূমের জঙ্গলে মাওবাদীদের ৬টি ঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক।