ব্রিগেডের মঞ্চে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা ও বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তীব্র কটাক্ষ করলেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, গতবার যে বলেছিল লাল ঝাণ্ডা থাকবে না, সে নিজেই আজ তৃণমূলের ঝান্ডা ছিড়ে ন্যাকড়া বানিয়ে অমিত শাস্ত্রে জুতাে পালিশ করছে।
তিনি বলেন, একদিকে দলবদলের লড়াই আর দিকে দিনবদলের লড়াই। কাকের বাসায় কোকিলের ডিম ফুটছে। চিটফাণ্ডের টাকা লুঠ করে এখন বিজেপিতে আশ্রয় নিয়েছে। এস এস সি নিয়ােগে দুর্নীতি হবে না। প্রতি বছর হবে শিক্ষক নিয়ােগ, শূন্যপদ অনুযায়ী সরকারী চাকরি হবে।
তিনি বলেন ব্রিগেড়ের মাঠ থেকে প্রতিশ্রুতি একইসঙ্গে চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারির কথা তুলে জোড়াফুল শিবির সহ উদ্দেশে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘লুটেরাদের রুিদ্ধে লড়তে গেলে একসঙ্গে লড়তে হবে, তেমনই তাদের বিরুদ্ধে লড়তে গেলেও এক হতে হবে। সারদায় টাকা ফেরত হয়নি। বরং যারা লুঠ করেছিল তারা ঝপাং করে বিজেপিতে চলে গিয়েছে। ক্ষমতায় এলে যারা লুঠ করেছে তাদের বাড়ি, সে শান্তিনিকেতন হলেও নিলাম করব।
মইদুল আলি মিদ্যার মৃত্যু প্রসঙ্গ তুলে সেলিমের বার্তা, ১০ বছরে ২৫০ জন কমরেডকে খুন করেছে তৃণমূল। মইদুল, সুদীপ্তকে মেরে পার পাবে না তারা। জোড়াফুল শিবিরের নতুন স্লোগানকে কটাক্ষ করে বলেন কেউ কেউ এখন বলছে খেলা হবে।
সারা লকডাউন আমরা ২০-২০ খেলেছি, এখন ওরা বলছে খেলা হবে। আর মােদিজী তাে স্টেডিয়ামই দখল করে নিলেন। ভােট আসলেই বলছেন সব করে দেব। ভােটের সময় কাজী, কাজ ফুরােলেই কিষেণজি।
তিনি আরও বলেন, ব্রিগেড়ে আসতে গেলে চার্টার্ড প্লেন লাগে না। আমরা এখানে খেলা করতে আসিনি, এবার দিদিমণিকে মাঠ থেকে নকআউট করতে হবে। ঝরাপাতার দিন শেষ। বসন্ত এসে গিয়েছে। ব্রিগেড বলছে লাল ফুল ফোটা কেউ আটকাতে পারবে না।’ পদ্ম ও ঘাসশিবিরের উদ্দেশে সেলিমের হুঙ্কার, ‘এমন তাপ বাড়াব তৃণমূল আইসক্রিমের মতাে জল, বিজেপি বাষ্প হয়ে উড়ে যাবে।’