১০ দফা দাবিকে সামনে রেখে গত ৪ দিন ধরে ধর্মতলায় অনশনে জুনিয়র চিকিৎসকরা। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-এর উদ্যোগে ৬ জন জুনিয়র চিকিৎসক চালিয়ে যাচ্ছেন আমরণ অনশন। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করুক রাজ্য, এই দাবি বার বার জানিয়েছিলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। অবশেষে অনশনের ৫ দিনের মাথায় মহাষষ্ঠীর দিন সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যভবনে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের বৈঠকের ডাক দেওয়া হল। ই-মেল মারফৎ জুনিয়র চিকিৎসকদের ৭ থেকে ১০ জনের টিমকে সন্ধ্যে পৌনে ৮ টার মধ্যে স্বাস্থ্যভবনে আসতে বলা হয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্যভবনে যাবেন বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত গত শনিবার থেকে ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় অনশনে বসেছেন ৬ জন জুনিয়র চিকিৎসক। তাঁরা প্রায় ৫ দিন ধরে অনশনে বসে আছেন। তারপরও সরকার কেন হস্তক্ষেপ করছেন না? কেন তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন না? এই দাবিকে সামনে রেখে গতকাল আর জি করের সিনিয়র চিকিৎসকরা জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ নিয়ে ‘গণ ইস্তফা’ দেন। তারপরই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে সরকারের উদ্দেশ্যে বেঁধে দেওয়া হয় ২৪ ঘন্টার সময়সীমা। কিন্তু তার মধ্যেও সরকারের পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কোনও আলোচনা সভায় না বসায় সকালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক ইস্তফা দেন।
এরপরই গণ ইস্তফা দেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা। আর এবার একই দাবিতে ‘গণ ইস্তফায়’ সামিল হলেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ৩৫ জন সিনিয়র চিকিৎসক। আরও ২৪ ঘন্টার সময়সীমা এবার বেঁধে দিলেন এনআরএস এবং সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান, যদি এই সময়সীমার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সরকার, তাহলে তাঁরাও গণ ইস্তফার পথে হাঁটতে বাধ্য হবেন।
এদিকে পরপর মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র চিকিৎসকরা ইস্তফা দিলে ভেঙে পড়তে পারে স্বাস্থ্য পরিষেবা তা আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। আর এক দিনেই ৩ মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র চিকিৎসকরা একের পর এক ইস্তফার জেরে চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। গণ ইস্তফা দেওয়ায় মহাষষ্ঠীর রাতেই বৈঠকের ডাক দিল স্বাস্থ্যভবন।
তবে স্বাস্থ্যভবনের পক্ষ থেকে ৮-১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে এই বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, ৮-১০ জন নয়, নিজেদের মতো করে সদস্য নিয়ে উপস্থিত হবেন তাঁরা।